বাড়িতেই জ্বরঠোসার প্রতিকার জানুন

  17-05-2024 01:49AM

পিএনএস ডেস্ক : জ্বর এলেই জ্বরঠোসা হয়, এমন ভ্রান্ত ধারণা অনেকের মাঝেই রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বরঠোসা জ্বরের কারণে হয় না। বরং জ্বরঠোসার এইচএসভি-ওয়ানের ইনফেকশনের কারণে শরীরে জ্বর আসে।

চিকিৎসাশাস্ত্রে জ্বরঠোসাকে ফিভার ব্লিস্টার বলে। এ রোগে ঠোঁটের কোনায় কিংবা বর্ডারে একগুচ্ছ ফুসকুড়ি ওঠে। অনেক সময় ঠোঁটে ঘা হয়ে ব্যথা অনুভূত হয়। একে বলা হয় কোল্ড সোর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশকিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখে সহজেই জ্বরঠোসার রোগীকে শনাক্ত করা যায়। যেমন:

লক্ষণ

জ্বরঠোসার রোগীর ঠোঁটের কোণে চারপাশে ফুসকুড়ি, ঘা দেখতে পাওয়া যায়। এর সঙ্গে থাকে জ্বর, ব্যথা, বমিভাব কিংবা বমি ও মাথাব্যথার সমস্যা।

এ ছাড়া খালি চোখে দেখেই ফিভার ব্লিস্টার বা জ্বরঠোসা শনাক্ত করা সম্ভব। তবে ব্লিস্টারের ভেতরের তরল থেকে ডিরেক্ট ইমিউনোফ্লুরোসেন্স টেস্ট বা পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে ভাইরাস শনাক্ত করা যেতে পারে।

কেন হয়

জ্বরঠোসার মূল কারণ হচ্ছে HSV-1 ইনফেকশন। এই ইনফেকশনের কারণেই শরীরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। তবে অনেক সময় জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার বা জ্বরঠোসা হতে দেখা যায়।

এ ছাড়া ইনফেকশন, মানসিক চাপ, মেয়েদের পিরিয়ডের সময়, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে জ্বরঠোসা হতে দেখা যায়। রোগীর আক্রান্ত স্থানের সংস্পর্শে এলেও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

যাদের বেশি হয়

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই HSV-1-এ আক্রান্ত থাকেন। কিন্তু বেশিরভাগই সুপ্ত অবস্থায় থাকে এবং ১০ বছর বয়সে প্রথম প্রকাশ পায়। প্রথমবার হওয়া ফিভার ব্লিস্টার সেরে যাওয়ার পর HSV-1 স্নায়ুকোষে লুকিয়ে থাকে এবং জীবনে বারবার এর প্রকাশ ঘটে।

প্রতিরোধ

১. ব্যবহৃত পানির গ্লাস, চামচ, লিপস্টিকসহ অন্যান্য কসমেটিকস কারো শেয়ার না করা।
২. ছোটদের চুমু না দেয়া।
৩. ব্লিস্টার স্পর্শ করলে ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলা।
৪. মানসিক চাপমুক্ত থাকা।
৫. চুম্বন এবং ওরাল সেক্স থেকে বিরত থাকা।
৬. সানস্ক্রিন ক্রিম, লিপ-বাম ব্যবহার করা।
৭. পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
৮। মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণভাবে ৭-১৪ দিন উপসর্গ বর্তমান থাকলেও ৮-১০ দিনের মধ্যে ফিভার ব্লিস্টার বা জ্বরঠোসা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে প্রথম সপ্তাহে অ্যান্টি-ভাইরাল জেল লাগালে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে ১৪ দিনের বেশি ব্যথাযুক্ত ফিভার ব্লিস্টার বা জ্বরঠোসা থেকে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পিএনএস/শাওন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন