পিএনএস ডেস্ক: ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ২৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। এর মধ্যে ১০ জনই ছিল থাইল্যান্ডের নাগরিক। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। পাশাপাশি জিম্মি করে নেওয়া হয় ২৪০ জনকে।
থাইল্যান্ডের এক নারী বিবিসিকে বলেন, ৭ অক্টোবরের ওই হামলায় মনে করেছিলাম আমার প্রেমিক মারা গেছেন। কিন্তু তাকে ফিরে পাওয়ার পর আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই। কিত্তিয়া থুয়েংসেং নামের ওই নারী জানান, শুক্রবার হামাস যাদের মুক্তি দেয় তাদের মধ্যে আমার প্রেমিক উইচাই কালাপাতের ছবি দেখতে পাই।
ধারণা করা হচ্ছিল হামাসের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে থাই নাগরিক উইচাই ছিলেন। তবে কিত্তিয়ার প্রেমিক বেঁচে থাকার খবর পাওয়া যায় ফিরে আসার মাত্র পাঁচদিন আগে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর কিত্তিয়া খবর পান তার প্রেমিকসহ ৩০ জন থাই নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। আগামী বছর তাদের বিয়ের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই হামাসের হামলায় প্রেমিক নিহত হওয়ার খবর পান কিত্তিয়া।
শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে যখন থাই নাগরিকের মৃত্যুর তালিকা প্রকাশ করা হয়, তখন এতে উইচাই’র নাম দেখা যায়নি। পরে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন কিত্তিয়া। অবশেষে তিনি খবর পান গাজায় ২৬ থাই নাগরিক জিম্মি আছে।
কিত্তিয়া বলেন, যখন আমি আমার প্রেমিককে ছাড়া পেতে দেখলাম, তখন আনন্দে কান্না চলে আসে। হামাস ছেড়ে দেওয়ার পর তাকে ইসরায়েলের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পিএনএস/এমএইউ
‘ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা আমার প্রেমিককে মারেনি ভেবে আনন্দ লাগছে’
27-11-2023 02:10PM