যেভাবে ইসরাইলি ‘গণহত্যার’ নিন্দা জানিয়েছে কিউবা

  09-12-2023 02:57PM



পিএনএস ডেস্ক: গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কিউবা। দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল বলেন, যারা এই আগ্রাসন দেখেও চুপ করে ছিল, ইতিহাস তাদের কখনও ক্ষমা করবে না।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে (কপ-২৮) যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন কিউবার প্রেসিডেন্ট। এ খবর দিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

খবরে জানানো হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওই সম্মেলনটি চলছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাতে সেই মঞ্চকেই বেছে নিয়েছেন দিয়াজ ক্যানেল। তিনি বলেন, আমি ফিলিস্তিন ও এর বীর জনগোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানাতে চাই। কিউবা অভিলম্বে গাজায় সহিংসতা ও গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানায়।

লাতিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশের সঙ্গেই ইসরাইলের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তবে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র কিউবা কখনও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি। এছাড়া আন্তর্জাতিক সকল প্ল্যাটফর্মেই কিউবা দশকের পর দশক ধরে ইসরাইলের বিরোধিতা করে আসছে। কিউবার ন্যায় লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ ভেনিজুয়েলাও কট্টোর ইসরাইলবিরোধী হিসেবে পরিচিত।

এই দুই দেশের সঙ্গে ইসরাইলের কোনো সম্পর্ক নেই।

১৯৯২ সাল থেকে ইসরাইল অব্যাহতভাবে কিউবার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে ভোট দিয়ে আসছে। কিউবার ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে অন্যায্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে তা তুলে নিতে বহুবার ভোট হয়েছে জাতিসংঘে। গত ২রা নভেম্বরও একই ধরণের ভোট হয়। এতে ১৮৭ দেশ কিউবার পক্ষে ভোট দেয়। অপরদিকে কিউবার বিরুদ্ধে ভোট দেয় দুটি দেশ। যার একটি যুক্তরাষ্ট্র নিজে আর অপরটি হচ্ছে ইসরাইল।

এর আগে গত ২৩শে নভেম্বর ইসরাইল-বিরোধী বিশাল এক সমাবেশ ডাকেন কিউবার প্রেসিডেন্ট। এতে হাজার হাজার কিউবার নাগরিক যোগ দেন। তারা হাভানায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের সামনে গিয়ে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদ জানান। এসময় কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনিদের কেফিয়াহ পরে হাজির হন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী লিস চেস্টাও। এছাড়া ছিলেন কিউবার প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীও।


গত মাসে হাভানায় দিয়াজ-ক্যানেল কিউবায় অধ্যয়নরত ১৪৪ ফিলিস্তিনি ছাত্রকে আমন্ত্রণ জানান। তাদের মধ্যে গাজা উপত্যকার ৫৩ জনও ছিল। কিউবায় বর্তমানে ফিলিস্তিনের ২২৪ মেডিকেল শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছেন। তাদের মধ্যে ৭৮ জন গাজা উপত্যকার। ২০০৫ সাল থেকে প্রায় ১০৪ ফিলিস্তিনি চিকিৎসক কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি থেকে স্নাতক হয়েছেন।

দিয়াজ-ক্যানেল কিউবার শিক্ষার্থীদের বলেন, আপনাদের সবাইকে আলিঙ্গন করতে পারা একটি মহান সম্মান এবং গর্বের বিষয়। আমাদের দেশ ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। আমাদের দেশ কেবল কথায় নয়, কাজেও মানবতার পরিচয় দেয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কিউবায় থাকা ফিলিস্তিনি যুবকরা তাদের শিকড় ভুলে যায়নি। বিপরীতে তারা আমাদের সাথে যে অনুভূতি এবং জীবন কাহিনী শেয়ার করেছে তার মাধ্যমে তারা তাদের স্বদেশকে রক্ষা করার দৃঢ় প্রত্যয়ও প্রকাশ করেছে।



পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন