লোভ দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের 'মানব ঢাল' বানাচ্ছে জান্তা সরকার

  24-02-2024 10:28AM



পিএনএস ডেস্ক: বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। রাখাইন রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত (আইডিপি) ক্যাম্প এবং গ্রাম থেকে বাছাই করা হচ্ছে তাদের।

কমপক্ষে ৪০০ জন রোহিঙ্গা পুরুষকে দুই সপ্তাহের প্রাথমিক প্রশিক্ষণের জন্য সামরিকঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল। এসব ব্যক্তিকে ‘মানব ঢাল’ হিসাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের, এমনটাই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মীসহ রাজ্যের বাসিন্দারা।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে থাইল্যান্ড থেকে পরিচালিত দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইরাবতি।

রাখাইনের অধিকারকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জান্তা বাহিনী জানিয়েছে, যেসব রোহিঙ্গা পুরুষ সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন তাদের এক বস্তা চাল, নাগরিকত্বের একটি পরিচয়পত্র এবং মাসিক ১ লাখ ১৫ হাজার কিয়াট বেতন দেওয়া হবে, যা বাংলাদেশি অর্থে সাড়ে চার হাজার টাকার সমান।

তবে সাধারণ রোহিঙ্গাদের প্রলুব্ধ করতে না পেরে এখন জোরপূর্বক তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের রাজধানী সিত্তেতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সেখানে দুই সপ্তাহের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের ধরে নিয়ে যেতে বিভিন্ন গ্রাম এবং শরণার্থী ক্যাম্পে হানা দিচ্ছে জান্তা বাহিনী। গ্রামবাসী ও অন্যদের আশঙ্কা তাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা নে সান বলেছেন, “প্রশিক্ষণের সময় মাত্র দুই সপ্তাহ। যাদের দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তাদের জান্তা বাহিনী শুধু মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।”

এর মধ্যে সিত্তের ও বুচিডংয়ের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৪০০ জনকে প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি সব নারী-পুরুষের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে। এর পরই রোহিঙ্গা পুরুষদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করে জান্তা।


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন