পিএনএস ডেস্ক: ‘ইন্ডিয়া-আউট’ স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মালদ্বীপের চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। এবার সংসদ নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)। ফলে বন্ধু দেশ চীনের সঙ্গে আরও গভীর হচ্ছে মালদ্বীপের সম্পর্ক। কেননা এই জয়ের মধ্য দিয়ে এবার চীনের সমর্থনে মুইজ্জুর অবস্থানে জনগণের ভূমিকাও স্পষ্ট।
বিশ্লেষকদের ধারণা, এই জয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
বিদেশি নীতির সমর্থনে পার্লামেন্টে ভূমিধস জয় হয়েছে মুইজ্জুর। ফলাফল অনুযায়ী, ৯০ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে মুইজ্জুর দল পেয়েছে ৬৬টি আসন। এর ফলে সরকার ভারত থেকে আরও দূরে গিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন নির্বাচনকে সফল বলে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চীন ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় এবং সহযোগীতাকে প্রসারিত করতে, চীন-মালদ্বীপের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে আরও গভীর করতে মালদ্বীপের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
এদিকে সোমবার রাতে সমর্থকদের উদ্দেশে মুইজ্জু বলেন, মালদ্বীপের মানুষ বিদেশি শক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে চায়। মালদ্বীপ রাষ্ট্র কীভাবে চলবে, সেটা এ দেশের মানুষই ঠিক করবে। প্রেসিডেন্টের পরিষ্কার বার্তা, ‘মালদ্বীপের বাইরে প্রত্যেকের কাছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের কাছে এটা এখন পরিষ্কার। আমরাই আমাদের সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’ এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ভারতবিরোধী অস্ত্র ব্যবহার করে মুইজ্জু নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয় পেলেন।
এরপরই তিনি দীর্ঘদিনের মিত্র ভারতকে পরিত্যাগ করে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়লেন। তিনি ও তার দল অভিযোগ করে আসছিলেন, ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। শুধু বলেই ক্ষান্ত হননি, দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ভেঙে দিল্লির সফর বাদ দিয়ে তিনি বেইজিং সফর করলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর চীনের রাজধানী বেইজিং সফরকালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে আবাসন, সেতু ও বিমানবন্দর নির্মাণে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করলেন।
পিএনএস/এমএইউ
আরও গভীর হচ্ছে চীন মালদ্বীপ সম্পর্ক
24-04-2024 03:41PM