পিএনএস ডেস্ক: খুনের মামলায় কারাগারে গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের আজিজুল। এরপর জামিনে বের হয়ে হাত কেটে দিয়েছেন বাদীর। দিয়েছেন, হত্যার হুমকিও। শুধু তাই নয় বাদীর পরিবারের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন আজিজুল। গত ৭ বছর আগে যেন কেয়ামত ঘটে গেছে সেই কিশোরীর পরিবারে।
এই কিশোরী জানান, আমি চাই আমার বাবকে যারা খুন করেছে, আমার এবং আমার ভাইয়ের জীবনটা এত বাজেভাবে নষ্ট করেছে তাদের শাস্তি হোক।
ভাগ্য শুধু নয় নিম্ন আদালতও এই পরিবারটির সঙ্গে অন্যায় করেছে। ধর্ষণের সব আলামত মেলার পরও আইন বহির্ভূতভাবে অব্যাহতি দিয়েছে ধর্ষক রফিকুলকে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী বলেন, আমাদের বাড়িতে এসে অনেক হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে মামলা উঠায় নেয়ার জন্যে। মামলা উঠায় না নিলে নাকি আমাদের বাড়ির যাকে পাবে তাকেই মারবে।
ভুক্তভোগীদের আইনজীবী ইশরাত হোসেন বলেন, সেই পরিবার মামলা উঠায় না নেয়ায় তারা কিশোরীকে তুলে নিয়ে একটি বাড়িতে ২০ থেকে ২৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এই অপহরণ এবং ধর্ষণ মামলায় মোট ৪ জন আসামি। এই চারজনের মধ্যে একজন রফিকুল ইসলাম, যাকে নিম্ন আদালত অব্যাহতি দেন। এর বিরুদ্ধে এই কিশোরী আপিল করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরীর বেঞ্চ আপিল গ্রহণ করে। ধর্ষণ মামলা প্রমাণিত হলে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন, মামলার সব আলামত মেলার পরও কিভাবে চার্জ শুনানির সময় একজন ধর্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়? এরপর নারায়ণগঞ্জ আদালতের আদেশ বাতিল করে রফিকুলকে আসামি করার নির্দেশ দেয়া হয়। এই ধর্ষণ মামলাটি বর্তমানে ফের অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে।
পিএনএস/এমএইউ
আলামত থাকা স্বত্বেও ধর্ষককে অব্যাহতি, ক্ষোভ হাইকোর্টের
31-03-2024 11:56AM
