এবার পাতাল রেলের যুগে প্রবেশ করছে দেশ

  01-02-2023 12:12AM

পিএনএস ডেস্ক : উড়াল মেট্রোরেলের পর এবার পাতাল রেলের জগতে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। মাটির ১০ মিটার নিচ দিয়ে এই রেলপথ নির্মাণ করা হবে। তবে ঘনবসতি এলাকায় মাটির ২০-৩০ মিটার নিচ দিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে একটি টানেলের উপরে আরেকটি টানেল দিয়ে এই রেলপথ নির্মাণ করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ এর ডিপো নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই ডিপোটি পাতাল ও উড়াল দুই ধরনের মেট্রোরেলের জন্য ব্যবহৃত হবে। উড়াল ও পাতাল রেলপথের সমন্বয়ে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার হবে এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পটি। এর মধ্যে রাজধানীর উত্তরা বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার হবে মাটির নিচ দিয়ে। এ ছাড়া নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার হবে উড়াল পথে। এই প্রকল্পটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

পাতাল রেলপথ নির্মাণে জনগণের ভোগান্তি হবে না। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পাতাল মেট্রোরেলপথ নির্মাণ করা হবে। পরে মাটির নিচে যে কাজ চলতে থাকবে, সেটি ওপর থেকে আর অনুমান করা যাবে না। আবার টিভিএম মেশিন দিয়ে যখন টানেল কাটা হবে, তখন এটিও ওপর থেকে কোনোভাবে বোঝা যাবে না।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক।

তিনি আরও বলেন, পাতাল স্টেশনগুলো আমরা ওপেন কাট পদ্ধতিতে করব। রাস্তার অর্ধেক অংশ প্রথমে খনন করা হবে। ওই অংশে আমাদের সব যন্ত্রপাতি নিচে নামানো হবে এবং তার ওপর দিয়ে স্টিলের পাত দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে যান চলাচলের জন্য।

‌‘ওই পাতের ওপর দিয়ে ৪০ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এই অংশ গাড়ি চলার জন্য খুলে দেওয়ার পর আমরা রাস্তার অপর অংশে কাটব এবং সেখানে একইভাবে কাজ করব। এই কাজের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাস সময় লাগবে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

তিনি বলেন, এমআরটি লাইন-৬-এ সাড়ে ৩ মিনিট পরপর ট্রেন চলতে পারে। এটাকে আমরা আরও কমিয়ে আনতে পারব। অন্যদিকে এমআরটি লাইন-১ এ ১০০ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করব। এটাকে হেডওয়ে বলে। ১০০ সেকেন্ডের মধ্যে একটার পর একটা ট্রেন আসবে, এটি আর কমানোর সুযোগ নেই।

‘আমরা ৬টি কোচ দিয়ে এমআরটি লাইন-৬ শুরু করেছি এবং আরও দুটি কোচ সংযোজনের সুযোগ রেখেছি। অর্থাৎ এটি ৮টিতে উন্নীত করা যাবে। এমআরটি লাইন-১ শুরুই হবে ৮টি কোচ দিয়ে। এখানে কোচ বৃদ্ধি করার বিষয়টি আর প্রয়োজন হচ্ছে না। আন্তর্জাতিকভাবে ৮টি কোচ দিয়ে শুরু করে, আমরাও ৮টি কোচ দিয়ে শুরু করব।’

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন এমআরটি লাইন-৬ এর স্টেশনগুলো রাস্তার ওপরে হয়েছে। এমআরটি লাইন-১ এর স্টেশনগুলো রাস্তার নিচে হবে। এটা মাটির ওপরে তিনতলা হয়েছে, ওটা মাটির নিচে তিনতলা হবে। জনসাধারণের যেন ভোগান্তি না হয় সেজন্য আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এখানে ব্যবহার করছি।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন