পিএনএস ডেস্ক: : পনেরো বছর আগে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর কখনো না ঘটে, সেই প্রত্যাশা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর পিলখানা সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যাশা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদক, নারী-শিশু পাচার রোধসহ বিভিন্ন কাজ বিজিবি অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করে যাচ্ছে। আমাদের দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী হলো বিজিবি। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে যখনই কোনো সমস্যা হয়, সেই অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানান ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তখনও বিজিবির সদস্যরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জানমাল রক্ষায় ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আজকে যারা বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এভাবেই আপনারা দক্ষতার পরিচয় দেবেন। যেন আমরা এই পদক আরও বেশি বেশি দিতে পারি। শৃঙ্খলা একটি বাহিনীর মূল চালিকাশক্তি। কখনও শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন।
এসময় সীমান্ত সুরক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় বিজিবিকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় বিজিবি সদর দপ্তরের বীরউত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিজিবি সদস্যদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি।
বিজিবি দিবসের এ অনুষ্ঠানে বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭২জন বিজিবি সদস্যকে পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন সরকারপ্রধান।
পিএনএস/এএ
পিলখানার ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে: প্রধানমন্ত্রী
04-03-2024 03:29PM