পিএনএস ডেস্ক: ঈদের দিন বাড়ি ফেরার জন্য বাবা বিল্লাল এবং মা মুক্তার সঙ্গে ভোলার চরফ্যাশনগামী এমভি তাসরিফ লঞ্চে উঠতে চেয়েছিল তিন বছর বয়সী শিশু সায়মা। তবে অন্য একটি লঞ্চের ধাক্কায় বাবা-মায়ের সঙ্গে অনন্তকালের পথে পাড়ি জমিয়েছে শিশুটিও।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এমভি তাসরিফ ও এমটি টিপু নামে দুটি লঞ্চ পন্টুনে বাঁধা ছিল। বিকেল ৩টার দিকে ভোলা থেকে আসা লঞ্চ এমভি ফারহান ওই দুই লঞ্চের মাঝখান দিয়ে পন্টুনে ভেড়ার চেষ্টা চালায়। তবে সেটি সফল হয়নি।
উল্টো ফারহানের ধাক্কায় তাসরিফের দড়ি ছিঁড়ে গেলে লঞ্চটিতে উঠতে চাওয়া কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আঘাত পায়। তাদের মধ্যে বিল্লাল ও তার স্ত্রী মুক্তা এবং শিশু সন্তান সায়মাও ছিল।
এছাড়া রিপন হাওলাদার ও নবীউল নামে আরও দুই জন গুরুতর আঘাত পান। তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানকার ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে ওই পাঁচ জন ছাড়াও আহত আরও চার জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর এমভি টিপু ও এমভি ফারহানের যাত্রা বাতিল করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এছাড়া ফারহানের চালক পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান।
তবে ফারহানের ম্যানেজার রাজিবের দাবি দুর্ঘটনায় তাদের লঞ্চের কোনও দায় নেই। এমভি তাসরিফ কতৃপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ করছে।
পিএনএস/এএ
সদরঘাটে নিহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জন এক পরিবারেরই
11-04-2024 07:09PM
![](/static/image/upload/news/2024/04/11/708bc16e476aeb14c2ad93f54446640b_monsur.jpg?w=550&h=350)