বিএনপি কার্যালয় থেকে খিচুড়িও জব্দ করেছে পুলিশ

  07-12-2022 10:24PM

পিএনএস ডেস্ক : রাজধানীর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ তিন শতাধিককর্মীকে আটকের পাশাপাশি শুধুমাত্র ককটেল, ট্রাকভর্তি চাল, পানিই নয় সঙ্গে কয়েক ডেকচি খিচুড়িও জব্দ করেছে পুলিশ।

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় দলটির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে গত কয়েক দিন ধরে নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে অবস্থান করছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিও বাড়ছিল। ঢাকার বাইরে থেকে আসা নেতা-কর্মীদের খাওয়া-দাওয়া নিশ্চিতের ব্যবস্থা করেছিল বিএনপি। সেজন্য আয়োজন করা হয় রান্নার।

পুলিশের অভিযান চালানোর সময় রান্নার চাল-ডাল, তেল, মশলা, পানি যেমন পাওয়া যায়, তেমনি পাওয়া যায় রান্না করা খিচুড়ি। সেগুলো নিয়ে যায় পুলিশ।

পুলিশ বলছে, তাদের অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনে সমাবেশ করার চেষ্টা করছিল বিএনপি। এ জন্যই এগুলো মজুদ করা হচ্ছিল। বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের নিচতলার অস্থায়ী রান্নাঘর থেকে খিচুড়ি জব্দ করা হয়।

ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম বলেন, ‘তারা গত কয়েকদিন ধরেই এখানে কর্মী জমায়েত করে রান্নার আয়োজন করে খাওয়াচ্ছিল। কিন্তু আজকে যে আয়োজন দেখলাম তাতে স্পষ্ট তারা আমাদের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও নয়াপল্টনেই সমাবেশের প্রস্ততি নিচ্ছিল।’

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা নয়াপল্টন এলাকার থেকে ১৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছি। পৌনে দুই লাখ বোতল পানি উদ্ধার করেছি। এসব আনা হয়েছিল রান্নাবান্না করে খেয়ে দেয়ে অবস্থান নেয়ার জন্য। সমাবেশের তিন দিন আগে থেকেই নয়াপল্টনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল।’

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করছে। তার ধারাবাহিকতায় ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা দেয় দলটি।

তবে সমাবেশস্থল নিয়ে তৈরি হয় শংকা। বিএনপি চায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তাতে আপত্তি করে বিএনপি। নয়াপল্টন না পেলে আরামবাগে অনুমতি দিতে বিএনপির মৌখিক অনুরোধ ফিরিয়ে দেয়া হয়।

এর মধ্যে বুধবার বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়, বিকল্প স্থানের প্রস্তাব দেয়া না হলে সমাবেশ হবে নয়াপল্টনেই।

আগের রাত থেকেই ওই এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিতে থাকেন। দুটি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে নেতাদের বক্তব্য চলছিল সকাল ১০টা থেকেই। সেই সঙ্গে বিতরণ করা হচ্ছিল লিফলেট। তাতে শনিবারের সমাবেশে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছিল।

দুপুরের পর থেকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, পরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে যায়।

পিএনএস/এমবিবি

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন