মেজর অব: হাফিজ প্রসঙ্গে মঈন খান : সরকারের ব্যর্থ প্রকল্পের বহিঃপ্রকাশ

  18-03-2024 02:16PM




পিএনএস ডেস্ক: সরকার এই নির্বাচনের আগে একটি প্রকল্প নিয়েছিল, তারপর সে প্রকল্পে ফেল করলে আরো প্রকল্প নিয়েছিল। হাফিজ সাহেবকে নিয়ে গণমাধ্যমে যেটি এসেছে সেটি সরকারে ব্যর্থ প্রকল্পের বহিঃপ্রকাশ।

আজ সোমবার সদ্য কারামুক্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবির বাসায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে তিনি সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারের বাসায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। সেই সাথে তার পরিবারের খোঁজখবর নেন।

মঈন খান বলেন, সরকার একটা প্রহসনের করে, একটা নির্বাচনের নাটক মঞ্চায়িত করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আত্মস্বীকৃত নির্বাচন বলে প্রমাণ হয়ে গেলো।

আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা তো আমরাও চাই- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চায় একটি এক দলীয় শাসনের জন্য, আমরা কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চাই একটি ভিন্ন কারণে, সেটি হলো বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য। আমরা তো কারো সাথে কোনো শত্রুতা চাই না।

বাংলাদেশের মানুষের একটি আকাঙ্ক্ষা হলো গণতন্ত্র, এছাড়া দ্বিতীয় কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সে কথা সরকার স্বীকার করুক আর নাই করুক।


বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব: হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার যে অপচেষ্টা করেছিল সেটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সেটি প্রমাণিত হয়েছে। সরকার এই নির্বাচনের আগে একটি প্রকল্প নিয়েছিল, তারপর সে প্রকল্পে ফেল করলে আরো একটি প্রকল্প নিয়েছিল। হাফিজ সাহেবকে নিয়ে গণমাধ্যমে যেটি এসেছে সেটি সরকারের ব্যর্থ প্রকল্পের বহিঃপ্রকাশ।

সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারের বাসায় মঈন খান বলেন, সরকার যদি মনে করে থাকে এভাবে চিরদিন বন্দুক, টিয়ারগ্যাস, গ্রেনেড দিয়ে ক্ষমতায় থাকবে। এটা একটা দুরাশা মাত্র। মরীচিকার স্বপ্ন নিয়ে সরকার বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারবে না। এ দেশের গণতন্ত্রকামি মানুষ গণতন্ত্র ফিরে আনবে, ইনশা আল্লাহ।

কারাগারে চিত্র তুলে ধরে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম রবি বলেন, আমি এই সরকারের আমলে নয়বার কারাগারে গিয়েছি। তবে এবারের বিষয়টা ব্যতিক্রম। কারাগারে আইসলোশন ছিল ২৪ ঘণ্টা। লকাপে রাখা হয়েছে, সেলের বাহিরে কাউকে যেতে দেয়া হয়নি। এবারের মতো কারাবাস আমি কখনো করিনি আর পৃথিবীর এমন কোথাও আছে কি না, আমার জানা নেই।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন