১১১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার অবনমন পেলে-নেইমারদের সান্তোসের

  08-12-2023 01:05AM

পিএনএস ডেস্ক : ম্যাচ শেষ হতে না হতেই মাঠে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলেন সান্তোসের ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। দলটির ফুটবলারদের দৌড়ে চলে যেতে হলো লকার রুমে। সমর্থকদের ক্ষোভের কারণ আছে যথেষ্ট। ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির ১১১ বছরের ইতিহাসে এমন দিন যে আগে কখনও আসেনি!

প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের শীর্ষ লিগ সেরি আ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে গেমে গেছে সান্তোস, যে ক্লাবের হয়ে একসময় মাঠ মাতিয়েছেন কিংবদন্তি পেলে। তাকে ছাড়িয়ে বর্তমানে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা যিনি, সেই নেইমারের ক্লাব ক্যারিয়ারের শুরুটাও এই সান্তোসে।

ব্রাজিলের শীর্ষ লিগ থেকে কখনও অবনমনের শিকার না হওয়া ক্লাবের তালিকায় এতদিন ছিল তিনটি নাম- সান্তোস, সাও পাওলো ও ফ্লামেঙ্গো। সেখান থেকে কাটা পড়ল সান্তোসের নাম। শেষ রাউন্ডে বুধবার ঘরের মাঠে ফোখতালেজার বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে অবনমন নিশ্চিত হয় তাদের।

২০ দলের লিগ থেকে আগেই অবনমন নিশ্চিত হয় আমেরিকা মিনেইরো, করিচিবা ও গোয়েসের। শেষ রাউন্ডে আতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষে ৪-১ গোলে জিতে লিগে টিকে গেছে সিটি ফুটবল গ্রুপের দল বাহিয়া। ব্রাগানচিনোর বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে রেলিগেশন অঞ্চল থেকে বেরিয়ে এসেছে ভাস্কো দা গামাও।

বাহিয়ার চেয়ে ১ পয়েন্ট ও ভাস্কো দা গামার চেয়ে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে ১৭তম স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছে সান্তোস। নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচের একটিও জিততে পারেনি তারা, হেরেছে শেষ তিন ম্যাচেই।

ফোখতালেজার বিপক্ষে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার পর ৫৮তম মিনিটে সমতা টেনে অবশ্য অবনমন এড়ানোর আশা জাগায় সান্তোস। তখন ব্রাগানচিনোর বিপক্ষে ১-১ সমতায় থাকা ভাস্কো দা গামা অবনমন অঞ্চলে।

কিন্তু ৮২তম মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় ভাস্কো দা গামা। অন্যদিকে নিজেদের ম্যাচে যোগ করা সময়ে (৯৬তম মিনিট) গোল হজম করে হেরে যায় সান্তোস। দূরপাল্লার শটে গোলটি করেন হুয়ান মার্তিন লুসেরো।

আরেক ম্যাচে ক্রুজেইরোর বিপক্ষে ১-১ ড্র করে টানা দ্বিতীয় ও রেকর্ড ১২তম লিগ শিরোপা নিশ্চিত করে পালমেইরাস। দলটির হয়ে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের নতুন সেনসেশন এন্দ্রিক ফেলিপে, আগামী বছর যিনি যোগ দেবেন ইউরোপের সফলতম দল রেয়াল মাদ্রিদে।

সান্তোসকে বিশ্ব ফুটবলের পরিচিত মুখ করে তুলেছিলেন পেলে। গত শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে সোনালী সময় কাটায় তারা। এই সময়ে ১০টি রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি ৬টি ব্রাজিলিয়ান লিগ শিরোপা ঘরে তোলে দলটি।

এছাড়া ১৯৬২ ও ১৯৬৩ সালে জিতেছিল দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খ্যাত কোপা লিবের্তাদোরেস। এই দুই বছরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপও জিতেছিল সান্তোস। ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার শীর্ষ ক্লাবগুলোকে নিয়ে হতো এই প্রতিযোগিতা। পরে ২০১১ সালেও কোপা লিবের্তাদোরেস জেতে তারা।

পিএনএস/শাওন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন