পাগলা মসজিদের সিন্দুকের চিরকুটে যে ‘কথা’ লেখা ছিল

  10-12-2023 10:54AM



পিএনএস ডেস্ক: শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা। ওই সময় খোলা হয় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দান সিন্দুক। তবে এবার দান সিন্দুকে ২৩ বস্তা টাকার সঙ্গে পাওয়া গেছে একটি চিরকুট।

এছাড়াও মিলেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও বেশকিছু স্বর্ণালংকারও। সিন্দুকের টাকার সঙ্গে পাওয়া চিরকুটটি লিখেছেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আতিক নামে এক বেকার যুবক। ১০০ টাকার এক নোটের সঙ্গে পিন করা ওই চিঠিটি সিন্দুকে রেখে যান তিনি।

ওই চিরকুটে আতিক লিখেন, ‘হে মহান আল্লাহ পাক, আমার প্রিয় সাধক পাগলা বাবার মসজিদের খ্যাতি শুনে দূরের জেলা পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে একাই এসেছি। আপনি অন্তর্যামী। সবই দেখেন ও জানেন। আমার বাবা মো. কুদ্দুসুর রহমান, মাতা উম্মে কুলসুম ও বোন আফিফা রহমান। আমি মো. আতিকুর রহমান। আমার বাবার ব্যাংক লোন ১৬ লাখ টাকার ওপরে। ব্যক্তিগত সুদী ঋণও ১০ লাখ টাকার ওপরে। সুদখোরদের অত্যাচারে বাসায় থাকা বা চাকরি এমনকি পড়ালেখায় মন দেওয়া খুবই কঠিন। আমার বাবা অসহায় একজন মানুষ। নিজে ঋণ করে তার ভাই-বোনদের পড়াশুনা ও বিয়ের খরচ চালিয়েছে। এখন তাকে সাহায্য করার কেউ নেই, আল্লাহ তুমি ব্যতীত। পাগলা মসজিদে মাত্র ১০০ টাকা দান করলাম। আল্লাহ ও আল্লাহ রাসূলের উচিলায় ও পাগলা বাবার উচিলায় ঋণ ও গজব থেকে মুক্তির সুযোগ দাও। আমাকে প্রথম শ্রেণির সরকারি একটি চাকরি দাও। মা-বাবার খেদমত করার সুযোগ দাও। আমাদের বালা-মুসিবত পাগলা বাবার উচিলায় দূর করে দাও। ইতি আতিক, গলাচিপা, পটুয়াখালী’।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। গণনা শেষে টাকার অংক ছাড়িয়ে যায় বিগত দিনের সকল রেকর্ড। এবার ৩ মাস ২০ দিন পর দান সিন্দুকে মিলে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা। গণনায় ২২০ জনের একটি দল অংশ নেয়।

এর আগে, চলতি বছরের ১৯ আগস্ট মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন