হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ৫০

  10-12-2023 04:38PM

পিএনএস ডেস্ক: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জে বিএনপির ডাকা মানববন্ধনে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাংবাদিক, পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে শহরের শায়েস্তানগরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের শায়েস্তানগর পয়েন্টে বিএনপির ডাকা মানববন্ধন শুরু হয়। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা এসে যোগ দেন মানববন্ধনে।

এতে অংশ নেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার শিপা, সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, মিজানুর রহমান চৌধুরী, এনামুল হক সেলিম, কামাল উদ্দিন সেলিম, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদসহ সিনিয়র নেতারা।

মানববন্ধনের প্রায় শেষ পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে কতিপয় মুখোশধারী স্লোগান দিতে দিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তখন সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে মাই টিভির সাংবাদিক নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ ও সাংবাদিক আমির হামজা গুরুতর আহত হন। আশংকাজনক অবস্থায় নিরঞ্জন গোস্বামী শুভকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের সদর আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের মানববন্ধন চলছিল। হঠাৎ কেন সংঘর্ষ শুরু হলো, কারা এটি সৃষ্টি করেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটি করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। সংঘর্ষে আমাদের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিম বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছিল। আওয়ামী অনুপ্রবেশকারীরা পরিকল্পিতভাবে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য পুলিশের সঙ্গে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসিবুল ইসলাম জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও মিছিল করছিল। এ সময় পুলিশ শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিল। হঠাৎ পুলিশের ওপর নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। তখন পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

পিএনএস/সোহান

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন