ইন্দোনেশীয় তরুণীর সাথে মাদারীপুরের ছেলের ধুমধামে বিয়ে

  23-02-2024 11:20PM


পিএনএস ডেস্ক: সিঙ্গাপুরে কাজের সুবাদে ইফহা নামে এক ইন্দোনেশীয় তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশের শামীম মাদবরের। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এভাবেই কেটে যায় দুই বছর। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামে শামীম মাদবরের সঙ্গে বিয়ে হয় ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহার।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর থেকে বাড়ি আসেন শামীম মাদবর (৩০)। বাড়িতে এসে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী ইফহার (৩০) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা পরিবারকে খুলে বলেন। ভিনদেশি তরুণীকে বিয়ে করবেন বলে জানান। প্রথমে শামীম মাদবরের পরিবার মেনে নিতে না চাইলেও তরুণীর সঙ্গে কথা বলে বিয়েতে মত দেন তারা।

অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী। শামীম মাদবরের পরিবার সানন্দে গ্রহণ করেন ওই তরুণীকে। শুক্রবার জাঁকজমকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।
শামীমের আত্মীয় সালমা আক্তার বলেন, ইফহা ইন্দোনেশীয় তরুণী হলেও কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে থাকেন। আমাদের শামীমও সিঙ্গাপুর থাকেন প্রায় ছয় বছর ধরে। ওখানে থাকা অবস্থায়ই ইফহার সঙ্গে শামীমের পরিচয়। আমরা ফোনে ওই মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কথা বলেছি। মেয়ে খুবই ভালো। বাড়িতে ছেলের পরিবার প্রথমে বিয়েতে মত না দিলেও পরে সবাই রাজি হয়। মেয়ের পরিবারের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। তারাও রাজি।

এদিকে বিদেশি তরুণীর বিয়ে দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। প্রায় আট শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়। প্রতিবেশীরা জানান, বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মেয়েকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করছে।

শামীম মাদবরের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কিছুদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। একসঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।

শামীম বলেন, ইফহা ইন্দোনেশীয় তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থাতে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। আমাদের কারও পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়।

ইফহা বলেন, আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাবো। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাবো বাবা-মায়ের কাছে।

পিএনএস/শাওন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন