ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খালে, ভোলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

  03-03-2024 08:50PM

পিএনএস ডেস্ক: বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের টুঙ্গিবাড়িয়া এলাকায় একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খালে পড়েছে। এতে গুরুতর কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দীর্ঘ ২০ ঘণ্টার অধিক সময় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল রোববার বিকাল ৩টায় জানান, রাত ২টার দিকে বেইলি ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। আর ওই সময় ব্রিজের ওপর থাকা বরিশাল থেকে ভোলামুখী ট্রাকটি খালে উল্টে পড়ে যায়। এতে ট্রাকের ভেতরে থাকা চালক ও হেলপার আহত হলেও তাদের কারও অবস্থা গুরুতর নয়।

তিনি বলেন, রোববার সকালে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা ব্রিজটি মেরামতের পাশাপাশি বিকল্প সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর সেটি না হওয়া পর্যন্ত বরিশাল-ভোলা রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। রাত আড়াইটা থেকে এ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে যানবাহনগুলো স্থির অবস্থায় রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সড়কের উভয় প্রান্তে প্রায় ১ কিলোমিটারজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। ভোগান্তিতে পরেছেন সাধারণ মানুষ। ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে পণ্য ও যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়েছে। মানুষকে হেঁটে বিকল্প পথে খালটি পারাপার হয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ট্রাকের চালক ও হেলপার জানিয়েছেন, বেনাপোল থেকে বরিশাল-ভোলা হয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল ট্রাকটির। কিন্তু শনিবার মধ্যরাত ২টার দিকে বরিশাল ভোলা মহাসড়কের টুঙ্গিবাড়িয়ার স্লুইজ গেট এলাকায় বেইলি ব্রিজটি ভেঙে পড়ে।

রড তৈরির কাঁচামালের ২৫ টন লোহার কুঁচিভর্তি ট্রাকটি ওই ব্রিজটি পার হচ্ছিল। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় ট্রাকটি উল্টে খালে পড়ে যায়, আর এতে অল্পের জন্যে প্রাণে বাঁচেন ট্রাকের চালক ও হেলপার। তবে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন।

টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাদিরা রহমান বলেন, বেইলি ব্রিজ ভেঙে পরায় বন্ধ হয়ে গেছে বরিশাল ভোলা মহাসড়কে যান চলাচল। শত শত মানুষসহ এ পথ দিয়ে স্বল্প সময়ে সড়ক পথে ভোলা, নোয়াখালী, ফেনীসহ চট্টগ্রাম যান যাত্রীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, যেনতেনভাবে মাত্র এক মাস আগে ব্রিজটি তৈরি করে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বেশকিছু দিন ধরে একাধিকবার বলা হলেও ব্রিজ মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভ রয়েছে তাদের। একই কথা জানিয়েছেন এ রুটে চলাচলকারী ট্রাক, বাস ও ট্যাংকলরির চালক-হেলপাররা। তাদের দাবি সেতুটি দিয়ে কী পরিমাণ ওজনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে তারও নির্দেশনা দেওয়া ছিল না। থাকলেও হয়তো ট্রাকটি ঝুঁকি নিত না।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন দাবি করেছেন, ২০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বেইলি ব্রিজটিতে অতিরিক্ত পণ্য ওঠাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে দাবি তাদের।

এদিকে সড়কটিতে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা দ্রুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম আজাদ রহমান।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন