নতুন বউ থানায় কেন বলেই যে কাণ্ড করলেন যুবক!

  03-04-2024 01:41PM



পিএনএস ডেস্ক: চাঁদপুরে কিশোরীকে উদ্ধারের পর স্বামী দাবি করে থানায় গিয়ে পেটে ছুরি চালিয়ে সুজন গাজী নামে এক যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

মঙ্গলবার রাত ৯টায় থানার ২য় তলার সিঁড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে। যুবক সুজন গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠান।

জানা যায়, গত ২৪ মার্চ শহরের পুরাণবাজার রঘুনাথপুর এলাকার মিজান গাজী নামে এক ব্যক্তি ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মীম আক্তার নামে তার মেয়ে হারিয়ে গেছে বলে ১ এপ্রিল চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই নিখোঁজ ডায়েরির তদন্তের দায়িত্ব পান এস আই আব্দুল আলিম। সেই আলোকে এস আই আব্দুল আলিম মঙ্গলবার শহরের বিষ্ণুদী এলাকায় যুবক সুজন গাজীর বাসা থেকে নিখোঁজ মীম আক্তার ও যুবকের মাকে থানায় নিয়ে আসেন। রাত ৯টায় যুবক সুজন গাজী থানায় এলে এস আই আব্দুল আলিম তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। একপর্যায় সুজন গাজী তার প্যান্টের পকেটে করে নিয়ে আসা ছুরি দিয়ে তার বামপাশে পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেন। এ সময় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াছিন আরাফাত বলেন, মীম নামে একটি মেয়ের জন্য তার বাবা নিখোঁজ ডায়েরি করে। সেই নিখোঁজ ডায়েরি উদ্ধারের দায়িত্বভার পড়ে এস আই আব্দুল আলিম ওপর। পরে এস আই আব্দুল আলিম ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য প্রক্রিয়া চালায়। ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ভিকটিম যেই ছেলের সঙ্গে চলে আসে, সেই সুজন গাজীকে খবর দেওয়া হয়। সে থানায় এসে এস আই আব্দুল আলিমের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে বলে আমার প্রেমিকা মীমকে কেন থানায় নিয়ে আসেন। পরে তাৎক্ষণিক সুজন গাজী প্যান্টের পকেটে করে নিয়ে আসা ছুরি দিয়ে তার বামপাশে পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠান চিকিৎসক। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পরে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন