মরা মুরগির ঘিলা-কলিজা বিক্রি করেই কোটিপতি যিনি!

  21-04-2024 03:28PM


পিএনএস ডেস্ক: মরা ও পচা মুরগির দুর্গন্ধযুক্ত পা, ঘিলা ও কলিজা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে জামালপুরে সদরের বাসিন্দা সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে। ঘিলা কলিজা বেচে রীতিমতো কোটিপতি বনে গেছেন এই অসাধু ব্যবসায়ী।

সুজন মিয়া জামালপুর সদরের শরিফপুর ইউনিয়নের ডেঙ্গারঘর গ্রামের বাসিন্দা হলেও ব্যবসার সুবাদে তিনি পৌর শহরের বানিয়া বাজারে ভাড়া বাসায় থাকেন।

জানা গেছে, এক সময় কুলা-চালনি বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালালেও বর্তমানে মরা ও পচা মুরগির ব্যবসা করে শহরের ছনকান্দা এলাকায় জমি কিনেছেন সুজন মিয়া। গ্রামেও কিনেছেন আবাদি জমি। বানিয়েছেন কংক্রিটের বাড়ি। চড়েন ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিন ১২০-২৪০ কেজি পোল্ট্রি মুরগির পা, ঘিলা ও কলিজা জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে বিক্রি করেন সহযোগী শুক্কুর আলী। জামালপুর ব্রহ্মপুত্র সেতুর নিচে অবৈধভাবে গড়ে তোলা একটা ভাড়া ঘর থেকে এ ব্যবসা পরিচালনা করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, মুরগির পা, ঘিলা, কলিজার বস্তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, চারপাশে মাছি ভনভন করছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা করি। আমি এত কিছু বুঝি না, কোম্পানি থেকে মাল কিনে এনে বিক্রি করি।

কোম্পানির মালের চালান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চালান বাড়িতে। চালান বাড়িতে মাল দোকানে কীভাবে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এ সময় তিনি হন্তদন্ত হয়ে ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

এসব কতটা স্বাস্থ্যকর জানতে চাইলে জামালপুর সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকতা ডা. উত্তম কুমার সরকার বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া কোনো কিছু এভাবে কেউ বিক্রি করতে পারেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করার পরামর্শ দেন তিনি।

জানতে চাইলে জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহনাজ ফেরদৌস জানান, তিনি ছুটিতে আছেন। সহকারী ভূমি কর্মকর্তাও নতুন যোগদান করেছেন। ছুটি থেকে ফিরে বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন