পিএনএস ডেস্ক: ‘মামলা করেছিস, তোকে জবাই করে দেবো’- রংপুর ড্রাগস্ অ্যান্ড কেমিক্যালস কো-অপারেটিভ সোসাইটি (আরডিসিসিএস) সম্পত্তির চাঁদাবাজি, ক্ষতিসাধন, লুটপাট, ভাঙচুর মামলার শুনানি শেষে আদালত চত্বরে এ হুমকি দেয় আসামি মাহমুদুল হাসান রানা, বাবু, খায়রুল আফতাবসহ অন্যরা। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকির কারণে আরডিসিসিএস সমিতির সভাপতি মামলার বাদী মির্জা আওরঙ্গজেব লাবলু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
লাবলু অভিযোগ করে বলেন, উত্তরবঙ্গে আয়ুর্বেদীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সদস্যদের তিলতিল করে গড়ে তোলা সম্পদ বৃহত্তর রংপুরের লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী জেলার সমবায়ী শেয়ারহোল্ডার সদস্যদের অর্থায়নে ১৯৪৫ সালে রংপুর নগরীর আলমনগর এলাকার ৪ দশমিক ৩ একর তফসিলভুক্ত জমিতে ‘দি কনজ্যুমার্স কো-অপারেটিভ স্টোরস লিমিটেড সমিতি’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
এর অধীনে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ৫২ বিঘা ৪ কাঠা জমি ছিল। ১৯৮৭ সালে আয়র্বেদীয় দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সমবায় কর্তৃপক্ষের লোলুপদৃষ্টি পড়ে এ সম্পত্তির ওপর। শুরু হয় লুটপাটের খেলা।
মিঠাপুকুরের শত কোটি টাকা মূল্যের জমি সমবায় প্রশাসন দুর্নীতির মাধ্যমে বিক্রি করে ধ্বংস করে দেয়। এরপর ১৯৯০ সাল থেকে যে সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে তার দলের স্থানীয় নেতারা যোগসাজশে সমবায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে দুর্নীতি করে লুটপাটে মেতে ওঠেন।
রংপুর নগরীর আলমনগরের শত কোটি টাকার ৪ দশমিক ৩ একর জমি নিয়ে ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সমাজকর্মীসহ আরডিসিসিএস লিমিটেড সমিতির সদস্যরা নতুন করে বাঁচার লক্ষ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা করে। ঠিক তখনই সম্পত্তি গ্রাস করতে বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগের নেতাসহ সমবায় প্রশাসন ষড়যন্ত্র শুরু করে। কৌশলে তারা সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে আলমনগরের ওই সমিতির সদস্যদের বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসন্ত্রাস চালায়।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৩ই মার্চে আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে মামলা আমলে নিয়ে সি.আর- এ রূপান্তরিত করা হয়।
তিনি জানান, পরবর্তীতে সমন জারি মামলা চলমানে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে সমবায় কর্তৃপক্ষ, রাজনৈতিক নেতাসহ মামলার আসামিরা। সমিতির সদস্যদের বাধার কারণে সমবায় কর্তৃপক্ষের স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় চক্রান্ত করে সরকারের দৃষ্টিতে তুলে ধরতে অবৈধভাবে বিক্রির সিদ্ধান্তে পত্র জারি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট।
এ ব্যাপারে সমবায় সদস্যরা হাইকোর্টে মামলা করলে আদালত স্থগিত আদেশ ও রুল জারি করে সমবায় কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চায়। এতে সমবায় কর্তৃপক্ষ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সমবায় কর্মকর্তা আব্দুস সবুর ও মাসুদ রানাসহ অন্যরা ষড়যন্ত্র করে কৌশলে সমবায় সমিতির সভাপতি মির্জা আওরঙ্গজেব লাবলুর নাম সমিতির তালিকা থেকে বাদ দেন এবং হুমকি অব্যাহত রাখেন।
পিএনএস/এমএইউ
‘মামলা করেছিস, তোকে জবাই করে দেবো’
29-05-2024 11:32AM