যশোরে কলেজছাত্রীর নগ্ন ছবি ধারণের অভিযোগ

  26-04-2017 10:10PM

পিএনএস, যশোর প্রতিনিধি : যশোরে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার এক পর্যায় পরনের ওড়না ধরে টানাটানি মোবাইলে ছবি তুলে নগ্ন তৈরী করে ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকী দিয়ে উদ্দেশ্যে হাসিলের ঘটনায় আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানায় তৎকালীন কর্মরত এসআই এইচএম মাহমুদ কবীর হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩) এর ১০ তৎসহ পর্নোগ্রাফী আইন ২০০২ এর ধারা মোতাবেক চার্জশীট দাখিল করেন। কবীর হোসেন যশোর সদর উপজেলার মন্ডলগাতী গ্রামের আলমগীর হোসেন ওরফে আলমের ছেলে। চার্জশীটে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু ইব্রাহিমসহ ৮ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে।

মামলা বিবারনে জানা যায়, মন্ডলগাতী গ্রামের স্বপন কুমার সরকারের মেয়ে অনন্যা সরকার ওরফে অঞ্জলী সরকার যশোর মহিলা কলেজে এইচএসসি ১ম বর্ষে লেখা পড়া করে। কলেজে আসা যাওয়ার প্রাক্কালে কবীর হোসেন তাকে উত্যক্ত করতো ও কু-প্রস্তাব দিতো। কবীর হোসেনের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় কবীর কলেজ ছাত্রী অনন্যাকে ক্ষতি করার জন্য কৌশল নেয়।

গত ২০১৫ সালে ১ বৈশাখে একটি পিকনিকে যাওয়ায় লম্পট কবীর মোবাইলে অনন্যার ছবি ধারণ করে। পরে ওই ছবি নগ্ন তৈরী করে। ওই বছরের ১২ অক্টোবর দুপুরে অন্যন্যা সরকার কলেজ থেকে বাড়িতে ফেরার সময় পৌনে ২ টার দিকে বাড়ির গেটের সামনে পৌছালে কবীর হোসেন পরনের ওড়না ধরে টানাটানির এক পর্যায় মোবাইলে ধারণকৃত নগ্ন ছবি দেখিয়ে ইন্টার নেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকী দেয়। লোকলজ্জার ভয়ে পরের দিন ১৩ অক্টোবর অন্যন্যা আত্মাহত্যার উদ্দেশে বিষপান করে।

বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এঘটনায় অন্যন্যার পিতা স্বপন সরকার বাদি হয়ে লম্পট কবীর হোসেনের বিরুদ্ধে ১৯ অক্টোবর কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন এসআই এইচএম মাহমুদ কবীর হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষে ২৫ এপ্রিল-২০১৭ আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। অভিযোগ পত্র নং ২১৯ তারিখঃ২/২/১৭ইং। কোতয়ালি থানার প্রাথমিত তথ্য বিবারনী নং ৬৬ তারিখঃ ১৯/১০/১৫ ইং।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন