না.গঞ্জে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি

  15-08-2017 06:26AM

পিএনএস ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ বন্দরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন সুমনকে বরখাস্ত করেছে ম্যানেজিং কমিটি।

অশ্লীল ছবি মোবাইলে ধারণে করে রাখে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) কামতাল মালিভিটা এলাকায় অবস্থিত নুরুন আলানুর-এ ছাহাকিয়া হোসাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন সুমন ওই মাদ্রাসার সুপারের অপন ভাগিনা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নন এমপিওভূক্ত মাদ্রাসার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন সুমনের কাছে কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণের জন্য নবম শ্রেণির এক ছাত্রী প্রাইভেট পড়তো। মাদ্রাসা চলাকালিন গত বুধবার দুপুরে মধ্যাহ্ন বিরতিতে ওই ছাত্রী কম্পিটার কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় শিক্ষক সাজ্জাদ ওই ছাত্রীকে যাপটে ধরে নিজের মোবাইলে অশ্লীল ছবি ধারণ করে। এ ঘটনাটি মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং ওই শিক্ষককের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করে। পরে মাদ্রসার প্রধান শিক্ষক (সুপার) মাওলানা আব্দুস ছাত্তার অভিযুক্ত শিক্ষক সাজ্জাদকে ওই দিনই মাদ্রাসা থেকে বের দেন। এ ঘটনায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নব যোগদানকারি আইসিটি শাখার শিক্ষক সাজ্জাদকে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করে দেওয়ার সিন্ধান্ত নেয়। কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় মাদ্রাসা কর্ম দিবসে তাকে বরখাস্ত করা হবে।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ অস্বীকার করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী হাবিবা জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন