গার্মেন্টস কর্মীকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ, পাঁচশ টাকায় রফাদফা!

  23-09-2017 09:50PM

পিএনএস ডেস্ক : আশুলিয়ার এক গার্মেন্টস কর্মীকে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে চার বখাটে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা চার বখাটেসহ মেয়েটিকে আটক করে মারধর করে।

পরে স্থানীয় মেম্বার হোসেন মাষ্টার ও জুলফিকার মাদবরের সহায়তায় চার বখাটেকে ছেড়ে দেয়া হয়। আশুলিয়ার দোসাইদ ঈদগাহমাঠ এলাকার পাশে র‌্যাংস গ্রুপের পরিত্যাক্ত গোডাউনে শুক্রবার রাতে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় এলাকার আতংক বিরাজ করছে। ধর্ষণের শিকার ওই গার্মেন্টস কর্মী বিচার চেয়ে বিষয়টি আশুলিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানায়। কিন্তু চেয়ারম্যান বিষয়টির কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে মেয়েটির হাতে পাঁচশ টাকা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

ফলে ওই তরুণীকে এ নিয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করেছেন তারা। কাউকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে উল্টো তাদেরকে এলাকা ছাড়ারও হুমকি দেয়া হয়েছে।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার দোসাইদ ঈদগাহমাঠ এলাকার হযরত আলী ভূইয়ার ছেলে ইশ্রাফিল ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শরিফুল ইসলাম বেড়ানোর কথা বলে সাভারের উলাইল বাসষ্ট্যান্ড থেকে এক পোশাক শ্রমিক ডেকে নিয়ে আসে। পরে র‌্যাংস গ্রুপের পরিত্যাক্ত গোডাউনে নিয়ে গিয়ে সেখানকার নিরাপত্তা কর্মী জাহাঙ্গীর ও পলাশের সহযোগীতায় ওই তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীরা তাদেরকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে ভুক্তভোগী তরুণী বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরকে জানালে তাকে ভয়ভিতি দেখিয়ে কিছু টাকা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

এব্যাপারে আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর সাংবাদিকদের বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিককে ধর্ষণের বিষয়ে আমার কাছে আসলে আমি ওই মেয়ের কাছে ঘটনাটি শুনি। এরপর আমি পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশও আমার কার্যালয়ে আসে। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে মেয়ের পরিবারের লোকজন মামলা করবেনা বলে জানালে আমি মেয়েটিকে পাঁচশ টাকা দিয়ে বিদায় করে দেই।

শ্রমিক নেতা আল কামরান বলেন, আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য তাহের মৃধার পোশাক কারখানায় সামনে থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় । নারী শ্রমিক নিজে আশুলিয়ার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ মামলা না নিয়ে মেয়েটি ফিরিয়ে দেয় । আজ আবার তৈরি পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ করা হয়েছে , মেম্বার ও চেয়ারম্যান তারা বিচার না করে এভাবে ধামাচাপা দিচ্ছে , এটা ঠিক না ।

ধর্ষণের বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, ধর্ষনের বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন