নাব্যতা রক্ষার নামে হচ্ছেটা কি? মন্ত্রণালয়ের সরেজমিন মনিটরিং জরুরী-

  09-02-2020 05:45PM

পিএনএস (মো: শাহাবুদ্দিন শিকদার) : প্রধান প্রধান নৌ-রুটে নাব্যতা বজায় রাখার প্রয়োজনে গ্রহণযোগ্য ড্রেজিং হলেও কম পরিচিত ও কম ব্যবহৃত নৌ-রুটে ড্রেজিং-এর নামে দুর্নীতি ও অনিয়ম মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপিত ডিপিপিতে এই সমস্ত নৌ-রুটে মাঝারী মানের জাহাজ কিংবা পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের বর্ণনা থাকলেও বাস্তবে নৌযান চালানো দূরে থাক ছোট ডিঙ্গী নৌকাও চলছে না। বছরের পর বছর শত শত কোটি টাকা খরচ করেও বাস্তবে নৌ-রুটগুলো এখনও কার্যকর হয়নি। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কাগজপত্রে সীমাবদ্ধ থাকায় বাস্তবে কি কাজ হয়েছে তার পরিসংখ্যাণ দাঁড় করানো সম্ভব হয়নি। নৌ-পথ পূণরুদ্ধার এবং যথাযথ পর্যবেক্ষণের স্বার্থে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করা না গেলে কার্যকর নৌ-পথ খনন বা পুন:খনন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

সূত্র মতে, বিগত বছরগুলোতে কম পরিচিত ও কম ব্যবহৃত নৌ-পথ খনন বা পূণরুদ্ধারের নামে শত শত কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। কম পরিচিত ও কম ব্যবহৃত নৌ-রুটগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করলে তা শতভাগ প্রমাণিত হবে।

সূত্র মতে নৌ-পথের পূণরুদ্ধারের ড্রেজিং কাজে সংশ্লিষ্ট সংস্থার ঠিকাদাররাও বারবার নির্যাতিত হচ্ছে। কার্যাদেশ প্রদানের সময় ঘুষ, প্রি-ওয়ার্ক ও পোস্ট ওয়ার্ক সার্ভের সময় ঘুষ, বিল প্রদানের সময় ঘুষ, চেক কাটার সময় ঘুষ ইত্যাদি অনিয়ম এখনও নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কাজের পরিবর্তে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে। কোন কোন কর্মকর্তা বিপুল অংকের টাকা ও সম্পত্তির মালিকে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের টাকা ও সম্পত্তির হিসাব কয়েকবার চাইলেও প্রতিবারই প্রভাবশালী মহলকে ব্যবহার করে ফাইল নথি চাপা দেওয়া হয়েছে। অথচ নদী ও নৌ-পথ রক্ষায় এ সমস্ত রাঘব বোয়ালদের সম্পত্তির বিবরণ স্পষ্টভাবে যাচাই করা দুর্নীতি দমন কমিশনের জন্য ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র সম্পদের হিসাব যাচাই করে বড় বড় কয়েকজন দুর্নীতিবাজকে শাস্তির আওতায় আনা গেলে নদী রক্ষা ও নৌ-পথ পূণরুদ্ধার সহজ হবে।

অভিজ্ঞমহল, এ ব্যাপারে দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর যথাযথ মনিটরিং স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। (চলবে)


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন