ইবি শিক্ষকের লঙ্কাকাণ্ড!

  07-12-2016 11:22AM

পিএনএস ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ইংরেজী বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপকের খারাপ আচরণে নাজেহাল হয়েছেন সিনিয়র অধ্যাপকসহ প্রক্টরিয়াল বডির বেশ কয়েকজন সদস্য।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নায়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষক জানান, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খোন্দকার আব্দুল্লাহ হিল মাবুদ জুয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রীদের প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট গেট দিয়ে প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এক আনসার সদস্য তাকে বাঁধা দেন। পরে রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি সদস্যরা তাকে শিক্ষক হিসেবে চিনতে পেরে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।

কিন্তু ওই শিক্ষক নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যদের সঙ্গে খুবই বাজে ব্যবহার করেন বলে ভূক্তভোগী ওই আনসার সদস্য এবং বিএনসিসি সদস্যরা জানিয়েছেন। পরে ওই শিক্ষক অনুষদ ভবনের সামনে আসেন। সেখানে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কে এম সালেহর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন।

তার চিৎকারে আশেপাশের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ছুটে আসেন। এসময় সহকারী প্রক্টর রুহুল আমিন তার ভাষা সংযত করতে বললে ওই শিক্ষক তার দিকে তেড়ে আসেন। উপস্থিত শিক্ষকরা বারবার তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তিনি বারবার প্রক্টরিয়াল বডির দিকে তেড়ে যান।

এসময় প্রক্টরিয়াল বডির আরও এক সদস্য আব্দুর রহিমের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও জানা যায়। এ চিৎকার চেচামেচির ঘটনায় কয়েক মিটার দূরেই পরীক্ষারত ভর্তিচ্ছুদের বারবার মনোযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটেছে বলে কয়েকজন পরীক্ষার্থী জাগো নিউজকে জানিয়েছেন। এর আগেও একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে ওই শিক্ষক বাসে বসা নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, জুনিয়র ওই শিক্ষকের মধ্যে কোনো নম্রতা, ভদ্রতা, সৌজন্যতা নেই। তার আচার আচরণ ব্যবহার বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ক্যাডারদের সমপর্যায়ের। শোনা যায় তিনি অতিরিক্ত মাত্রায় নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করেন।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক রুহুল কে এম সালেহ জাগো নিউজকে বলেন, আমার ধারণা সে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিল। তার কোনো আচরণই স্বাভাবিক ছিল না।

অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক খোন্দকার আব্দুল্লাহ হিল মাবুদ জুয়েল জাগো নিউজকে বলেন, আমি তাড়াহুরো করতে গিয়ে মেয়েদের লাইনে ঢুকে পড়েছি। সেখানে এক আনসার সদস্যের হাতে হেনস্তা হয়ে আমার মাথা ঠিক ছিল না। পরে শিক্ষকদের সঙ্গেও উচ্চ স্বরে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মাদক সেবনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ঘটনা অবগত হওয়ার পরেই প্রধান ফটকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হয়েছি আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত কোনো সদস্য তার সঙ্গে ন্যুনতম কোনো খারাপ আচরণ করেননি। যারা নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন