নোবেল নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনে সূ চির লজ্জা করে না!!

  20-11-2016 10:06AM

পিএনএস ডেস্ক: অনেক দিন পূর্বে রোহিঙ্গাদের হত্যা নিয়ে বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে আমরা অনেকেই শেয়ার করেছিলাম। এদেশের নাস্তিক, আওয়ামী লীগ ও কম্যুনিস্ট সহ অনেকেই সেসব ছবি যে ভুয়া প্রমানে ব্যস্ত হয়ে পরেছিলেন। অথচ ছবিগুলোর পঁচানব্বই ভাগই ছিল সঠিক। মানবিক বিপর্যয়ের সময়েও এই বদগুলো ইনিয়ে বিনিয়ে ফেকরা বাধায়। কেউ বলে এসব ছবি দিয়ে লাভ নেই।

আজিব ব্যাপার। ছিনতাইয়ের খবর ছাপালেই কি ছিনতাই বন্ধ হয়ে যায়। অবশ্যই হয় না। সেজন্য কি ছিনতাইয়ের খবর ছাপা বন্ধ করে দেয় কোন পত্রিকা। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পড়াশুনা করে এমন হাস্যকর কথা যুক্তি হিসেবে পেশ করে কেউ কেউ। কেউ কেউ আবার রোহিংগা মুসলিম লিখলে দাতে কপাটি খেয়ে যায়।তারা বলেন মানুষ মরছে লিখুন।

কিন্তু হিন্দুদের মেরে ফেলা নয় বাড়ীঘরে হামলা করলেই হিন্দু নির্যাতন হিন্দু নির্যাতন গেল গেল সব গেল বলে এরাই চিৎকার করে। তখন মানুষ নির্যাতন নয় হিন্দু নির্যাতন বলে বড়ই চেঁচামেচি করতে তারা সিদ্ধ হস্ত। এখানে একটা ব্যাপার উল্লেখ করতে চাই। ধরুন একটা লোক সংসদ ভবনের সামনে মারা গেল। এখন এক পত্রিকা লিখল - " সংসদ ভবনের সামনে একজন মানুষ মারা গেছে।" আরেক পত্রিকা লিখল- " সংসদ ভবনের সামনে এক সরকার দলীয় এমপির গাড়ীতে ধাক্কা লেগে একজন উপজাতীয় বৌদ্ধ শিক্ষক মারা গেছেন।" এখন এই খবরের মধ্যে দ্বিতীয় পত্রিকার খবরটি অনেক উচ্চমানের। কারন ঐ খবরে অধিক তথ্য আছে।

এখানে লোকটি বৌদ্ধ উল্লেখ করায় তার স্বধর্মের লোকেরা তার খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করতে পারবেন এবং সহয়তার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। অন্য ধর্মের লোকেরা তার প্রতি অবশ্যই অশ্রদ্ধা পোষণ করবেন না। কিন্তু নাস্তিকেরা সুযোগ পেলে মুসলমানদের জঙ্গি বলবে। আবার মুসলমানদের উপর গজব নাসিল হলে মনে মনে হেসে কুটি কুটি হয়ে বলবে মানুষ মরেছে। এখানে মুসলমান পরিচয় দিলে যদি মুসলমানদের প্রতি মানুষের সহানুভূতি সৃষ্টি হয় সে ভয়ে এরা এক্ষেত্রে মুসলমান কথাটি উল্লেখ করতে চায় না। কেউ করলে তা'কে মানুষ পরিচয়ের বিশালতা বুঝিয়ে দেয়। কলুষিত অন্তরের এই মানবতার দুশমনদের চালাকিগুলো একটু সতর্ক থাকলেই বুঝতে পারবেন ।

২০১২ সালে ১০০ রোহিঙ্গাকে মেরে ফেলা হয়েছে, দেড় লক্ষ রোহিঙ্গাকে উদ্বাস্তু করা হয়েছে। এবার তো মায়ানমার আর্মি মেরেছে ১৩০ জন রোহিঙ্গাকে, মুসলিম গ্রামের ৪০০ বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। উদ্বাস্তু হয়েছে এক লক্ষ। রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছে মায়ানমার থেকে। নৌকোয় চড়ে যেদিকেই যাচ্ছে, পাড় নেই নৌকো ভেড়াবার।

কী করছেন ‘শান্তির দূত’ অং সান সু চি? মায়ানমার আর্মিদের বর্বরতার বিরুদ্ধে মোটেও তো মুখ খুলছেন না। আসলে গদিতে এতই আরাম যে ওটি ধরে রাখার জন্য শান্তির দূত হয়েও চূড়ান্ত অশান্তি করতে দ্বিধা করেন না। মানবাধিকারের জন্য সারা জীবন লড়াই করেও অন্যের মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে এতটুকু লজ্জিত হয় না। সূত্র: বিডি সংবাদ

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন