এইচ-১বি ভিসা, ঝুঁকির মুখে ফেইসবুক

  04-02-2017 06:25PM

পিএনএস: যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসা নীতিমালায় পরিবর্তনে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ-এর নথি থেকে রয়টার্স-এর এক বিশ্লেষণায় এমন তথ্য পাওয়া যায়।

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, ২০১৬ সালে ফেইসবুক কর্মীদের ১৫ শতাংশেরও বেশি ছিলেন এইচ-১বি ভিসাধারী। সংখ্যাটা গুগল, অ্যাপল, অ্যামাজন বা মাইক্রোসফটের তুলনায় বেশি। এ কারণে ২০১৬ সালে এইচ-১বি ভিসানির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের তালিকাভূক্ত করে ফেইসবুক। এখন ট্রাম্প প্রশাসন যদি এই ভিসা কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতায় আরও বেশি জোরালো অবস্থান নেয় তবে তা ফেইসবুকের জন্য মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর ইতোমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা এমনটা করার হুমকিও দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে ফেইসবুক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সোমবার হোয়াইট হাউজ প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার জানান, বৃহত্তর অভিবাসী নীতিমালা সংস্কার ও পুননির্ধারণের অংশ হিসেবে ট্রাম্প সরকারি অধ্যাদেশ ও কার্যাবলীর মাধ্যমে এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থা সংস্কারে নজর দেবেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য তিনি জানাননি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে ট্রাম্প এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম নিয়ে ফেইসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গসহ প্রযুক্তিক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এতে ভিসা কার্যক্রমে লটারির বদলে উঁচু মানের তথ্যপ্রযুক্তির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভিসা বন্টন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এতে প্রতি বছর বণ্টনকৃত ৮৫,০০০ এইচ-১বি ভিসার সুষম বণ্টন সম্ভব হবে এবং মধ্যস্থতাকারী হিসেবে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস বা ইনফোসিস-এর মতো আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব কমে যাবে বলে মত দেওয়া হয়। এর ফলে ফেইসবুকসহ অন্যান্য প্রধান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তুলনামূলক কম ভোগান্তির শিকার হবে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এইচ-১বি ভিসা সংক্রান্ত বর্তমান নীতিমালা সংস্কারে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক খসড়া প্রতিবেদনে এ কার্যক্রমকে উপযুক্ত প্রার্থীদের জন্য তুলনামূলক সুফলবাহী করে তোলার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এতে অবশ্য চলমান লটারি প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি এবং রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এ খসড়ার নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি।



পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন