রিমান্ডে আসামির গোপনাঙ্গে ছ্যাঁকা, ওসি ও তদন্তকারীকে শো-কজ

  28-10-2016 11:02AM


পিএনএস, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত এক আসামির গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া ও অন্য এক অংশে গুরুতর জখমের অভিযোগ পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর (শো-কজ) নোটিশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশের ওই দুই সদস্যের কাছে শো-কজের সমন পাঠানো হয়েছে। পাঠানো সময়ে ১ নভেম্বর তাদেরকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাওছার আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্র জানান, ২৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরের ১৭৪/৪ ডনচেম্বার এলাকায় হারিছ মোল্লার আড়াই লাখ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। এতে হারিছ মোল্লা সদর মডেল থানায় ২৭ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত চোরের বিরুদ্ধে এক মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২২ অক্টোবর ইমরুল হাসান ইমরানকে (২৫) পুলিশ গ্রেফতার করে।

পরে এসআই আমির হামজা আদালতের অনুমোদনে ইমরানকে এক দিনের রিমান্ডে নেন। এরপর রাতে থানার ভেতর ইমরুল হাসান ইমরানের গোপনাঙ্গে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেন তিনি। একইসঙ্গে তার পশ্চাদ্দেশ বেতের আঘাতে রক্তাক্ত করা হয়। পরদিন জখম অবস্থায় গত ২৩ অক্টোবর আদালতে ইমরানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।

সেদিন নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এর আদালতে ইমরানকে হাজির করা হলে তিনি অবিরত কাঁদতে থাকেন। আদালত কান্নার কারণ জানতে চাইলে পুলিশি নির্যাতনে সৃষ্ট ক্ষতস্থান আদালতকে দেখিয়ে ওই যুবক কান্নায় ভেঙে পড়েন। মোটর সাইকেল চুরির বিষয়েও কিছুই জানেন না বলে আদালতে জানান।

এতে আদালত তার জবানবন্দি না নিয়ে করে থানার অফিসার ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে নির্যাতন বিষয়ে জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের এসআই কাওছার আহমেদ বলেন, ১ নভেম্বর সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আমির হামজা অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য না। তিনি ওই আসামিকে কোনও ধরনের নির্যাতন করেননি।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন