পিএনএস ডেস্ক : নাটোরের বড়াইগ্রামে স্ত্রী শেফালী বেগমের বিরুদ্ধে স্বামী জহুরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বুধবার সন্ধ্যায় জহুরুলকে বেধড়ক মারপিট করে। এরপর স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জহুরুল উপজেলার জোয়াড়ি ইউনিয়নের নটাবাড়ীয়া এলাকার কালিরঘুনগ্রামের আব্দুস সাত্তার বেপারীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে পার্শ্ববর্তী কেল্লা গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে শেফালী বেগমের সঙ্গে জহুরুলের বিয়ে হয়। তিন মাস ধরে স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলা নিয়ে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। কথা বলতে বাধা দিলে হত্যার হুমকি দেয় স্ত্রী এমন অভিযোগ তুলে স্বামী জহুরুল বড়াইগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরে ঘরের সকল মালমাল নিয়ে স্ত্রী বাবার বাড়ি পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরে বুধবার বিকেলে তাকে মুঠোফোনে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নেয় স্ত্রী।
সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে কথাকাটির এক পর্যায়ে জহুরুলকে স্ত্রী ও বাড়ির লোকজন বেধড়ক মারধর করে। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এমরান হোসেন জানান, মরদেহের শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বৃহস্পতিবার সকালে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পিএনএস/জে এ /মোহন
পরকীয়ায় বাধা : স্বামীকে পিটিয়ে হত্যার করল স্ত্রী!
18-05-2017 07:49PM