রামপালে বাসতবাড়ি দখল চেষ্টায় ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ

  19-01-2018 08:26PM

পিএনএস, রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : রামপালে প্রভাব খাটিয়ে বাসতবাড়ির একাংশে অবৈধভাবে প্রবেশ করে গাছাপালা কেটে গড়া বেড়া ভেঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রামপাল থানা থেকে মাত্র ২' শ গজ দুরে কামরাঙ্গা গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী জমির মালিক কাজী তরিকুল ইসলামসহ ৩ ভাইয়ের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কামরাঙ্গা মৌজার সিএস ৯৩ ও এসএ ৭৩ নং খতিয়ানে ২০৩ দাগের ৫ একর ২৩ শতক জমির মধ্য হইতে ২৬ শতক জমি সিএস মালিকদের নিকট হইতে শেখ জাফর আহম্মদ ক্রয় করেন। ওই জমি পরবর্তীতে শেখ আকবর হোসেনের নিকট বিক্রি করেন। পরে ওই জমি কাজী তরিকুল ইসলামের নিকট এওয়াজবদল দলিল মূলে ১৯৮৫ সালে হস্তান্তর করেন আকবর হোসেন।

ওই জমিতে বসতবাড়ি করে ১৯৮৫ সাল থেকে ভোগদখল করে আসছেন এবং বর্তমান জরীপে কাজী তারিকুল ইসলামের নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়েছে। ওই বাড়িতে প্রতিপক্ষ শেখ আঃ হামিদ জমি দাবি করে শালিশ বিচারের তোয়াক্কা না করে প্রভাব খাটিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাস্তবাড়ীর একাংশে অবৈধভাবে প্রবেশ করে গাছপালা গড়া বেড়া কেটে প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতি করে।

ভুক্তভোগীরা আরও অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ আঃ হামিদ শেখের পুত্র শেখ মনিরুল ইসলাম ও আসাদুজ্জামান প্রশাসনের বিভিন্ন পদে কর্মরত থাকার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে বাস্তবাড়ি দখলের অপচেষ্টা চালান। তার ছোট পুত্র মনিরুল ইসলাম খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ও অপর পুত্র শেখ আসাদুজ্জামান রামপাল উপজেলা আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা পদে কর্মরত থেকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দিয়ে সম্পত্তি আত্মসাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

এব্যাপারে প্রতিপক্ষ শেখ আঃ হামিদের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান ওদের কোন বৈধ কাগজপত্র নাই। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে আমি জায়গার দাবি করবো না। পুত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। অভিযোগের বিষয় রামপাল থানার ওসি মোঃ লুৎফর রহমান জানান, বেআইনীভাবে ভোগদখলীয় জায়গা দখলের চেষ্টা করার ঘটনায় হামিদ গংদের গড়া বেড়া ঠিক করে দিতে বলা হয়েছে। কেহ আইন অমান্য করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন