জনপ্রিয় হচ্ছে সিডলিং ট্রেতে চারা রোপণ পদ্ধতি

  17-08-2022 03:47PM




পিএনএস ডেস্ক : ট্রেতে চারা রোপণ দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এতে কমছে খরচ। বাড়ছে ফসল উৎপাদন। তিন ফসলি জমিতে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষাকে যুক্ত করতে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপণ করা হচ্ছে।

এজন্য সিডলিং ট্রেতে চারা তৈরির জন্য বীজ রোপণ করা হচ্ছে। তাছাড়া পাকা ধানের জমি কাটা হচ্ছে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে।

বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কৃষকদের এমন উৎসবে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।

স্থানীয় কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি বিঘা জমি রোপণ করতে শ্রমিক খরচ হয় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা।

সিডলিং ট্রেতে চারা তৈরি করে রাইসট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে রোপণ করলে বিঘা প্রতি পাঁচ শত থেকে এক হাজার টাকা খরচ হয়। এছাড়া প্রয়োজনের সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে শ্রমিক মজুরি দ্বিগুণ পর্যন্ত হয়ে যায়। এখন সব দুশ্চিন্তা থেকে আমরা মুক্ত।

বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার রামপুর ও পাহাড়পুর গ্রামে ২০ বিঘা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপণ ও কম্বাইন হারভেস্টারের সাহায্যে ধান কাটার উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়েছে।

এখন সিডলিং ট্রেতে চারা তৈরির জন্য বীজ রোপণ করছেন কৃষকরা। এতে তাদের সময় ও খরচ বাঁচে।

বুড়িচং উপজেলায় কার্যক্রমটির সমন্বয়কারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বানিন রায় বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অর্থায়নে এ কাজটি হচ্ছে। দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।

প্রথমত কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ বিশেষ করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের ব্যবহারকে জনপ্রিয় করা, দ্বিতীয়ত যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ১০-১৫ দিন বাঁচিয়ে শস্য বিন্যাসে নতুন ফসল সরিষার অন্তর্ভুক্তি।

তাছাড়া স্বল্প খরচে চারা রোপণ ও কর্তনের মাধ্যমে কৃষকের বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা অর্থ সাশ্রয় হবে ও শ্রমিক সংকটের দুশ্চিন্তা কিছুটা লাঘব হবে। এরই মধ্যে আউশ ধান কাম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে কাটা হচ্ছে। পরবর্তীতে রোপা আমনও কাটা হবে।

পিএনএস/আলাউদ্দিন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন