পণ্য খালাসে দেরি করলে গুনতে হবে জরিমানা

  13-11-2023 07:17PM

পিএনএস ডেস্ক: শুল্কায়নের ১০ দিনের মধ্যে শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে পণ্য বন্দর থেকে খালাস নিতে হবে, নইলে গুনতে হবে জরিমানা। কনটেইনার জট কমাতে নতুন কাস্টমস আইনে এ বিধান রাখা হয়েছে। এমনকি বন্দরে পৌঁছানোর ৫ দিনের মধ্যে পণ্যের ঘোষণা বা বিল অব এন্ট্রি জমার বিধান রাখা হয়েছে, এ নিয়ম ভঙ্গ করলে আমদানিকারককে জরিমানা গুনতে হবে। যদিও বিল অব এন্ট্রি সংশোধনের সুযোগ এবং শুল্ক ফাঁকি উদ্ঘাটনের আগে অপরাধ স্বীকার করলে জরিমানা থেকে অব্যাহতির বিধান রাখা হয়েছে আইনে।

৩১ অক্টোবর জাতীয় সংসদে কাস্টমস আইন ২০২৩ পাশ হয়। পুরোনো আইনে ২২৩টি ধারা ছিল। নতুন আইনে ২৬৯টি ধারা আছে। রাজস্ব সংগ্রহ এবং বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার (ডব্লিউসিও) অনুমোদিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কনভেনশন অনুযায়ী এবং আন্তর্জাতিক উত্তমচর্চা যেমন: অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর (এইও), পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি (এমআরএ), ইলেকট্রনিক ঘোষণা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট (পিসিএ) প্রভৃতি নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই গেজেট জারির মাধ্যমে নতুন কাস্টমস আইনের কার্যকারিতা দেওয়া হবে।

এনবিআর-এর সদস্য (শুল্কনীতি) মাসুদ সাদিক বলেন, নতুন কাস্টমস আইন সংসদে পাশ হয়েছে। আইনটি বাস্তবায়নের জন্য অনেক সাধারণ আদেশ, প্রজ্ঞাপন জারি এবং অনুবাদের প্রয়োজন আছে। এসব কাজ শেষ হলে গেজেট জারির মাধ্যমে নতুন আইনের কার্যকারিতা দেওয়া হবে।

আমদানি-রপ্তানিকারক ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন কাস্টমস আইনে শিল্পবান্ধব বেশকিছু বিধান রাখা হয়েছে। এ কারণে আমদানি পণ্য ছাড়করণে হয়রানি কমে আসবে। অন্যদিকে নতুন কিছু ধারা যুক্ত করা হয়েছে, যা শিল্পের ব্যয় বাড়িয়ে দেবে। নতুন আইনে আদতে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ক্ষমতা হ্রাসের কথা বলা হলেও ক্ষেত্রবিশেষে তা বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে। এতে হয়রানি বাড়তে পারে।

নতুন আইনের বিষয়ে এনবিআর-এর সাবেক সদস্য (শুল্ক নীতি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, নতুন কাস্টমস আইনটি ডব্লিউসিও অনুমোদিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কনভেনশন অনুযায়ী এবং আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অনুসরণ করে বানানো হয়েছে। তাই এটিকে আধুনিক আইন বলা যায়। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এ আইন বাস্তবায়ন করতে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তা না হলে আইনের সুফল পাওয়া যাবে না। যেমনটা হয়েছিল নতুন ভ্যাট আইনের ক্ষেত্রে। তিনি আরও বলেন, নতুন কাস্টমস আইন বাস্তবায়নে এখন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। তা না হলে ভ্যাট আইনের মতো ২০১২ সালে পাশ হওয়া আইন ২০১৯ সালে বাস্তবায়ন করার মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে।

পিএনএস/সোহান

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন