পিএনএস ডেস্ক: এবার বাড়লো মোটা চালের দাম। কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা পর্যন্ত। তবে দর বাড়ার কারণ হিসেবে রাজনৈতিক অস্থিরতা অনেকটা দায়ী বলে মনে করছেন ধান বিজ্ঞানীরা। আর খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি, আমন ধান বাজারে আসলেই মূল্য স্বাভাবিক হবে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার আঁচ লাগতে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের বাজারে। মূল্য বৃদ্ধির তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে মোটা চাল। সপ্তাহ না পেরুতেই কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৫ টাকা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়, যা ২ সপ্তাহে আগে ছিল ৫০ টাকা। আর মাঝারি আকারের চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায়। কয়েকদিন আগেও যা ছিল ৫২ থেকে ৫৪ টাকা।
ক্রেতাদের দাবি, সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হচ্ছে চালের দর। এক বিক্রেতা বলেন, প্রতি কেজিতে দর বৃদ্ধি পেয়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। পরিপ্রেক্ষিতে এক ক্রেতা বলেন, সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা গেলে বাজার অস্থিতিশীল হতো না।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম ও পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় দাম বেশি। এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে মোটা চালের সরবরাহ কম রয়েছে। নতুন ধান উঠবে আরও ২০ থেকে ২৫ দিন পর। ফলে খাদ্যপণ্যটির দর ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আরেক বিক্রেতা বলেন, দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা শুরুর পর থেকেই চালের মূল্য বেড়েছে। কারণ, পরিবহন খরচ বেশি লাগছে। গাড়ি ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অবরোধের মতো বিষয়গুলোকে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ধান বিজ্ঞানী ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, অবরোধে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে কৃষকের জমি থেকে ধান এবং মিল থেকে চাল আসতে সমস্যা হচ্ছে। এই সুযোগটা ব্যবসায়ীরা নিতে পারে।
মৌসুমের শেষে কিছুটা সরবরাহ কম। আমন ধান আসলেই বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, এখন চালের দর কিছুটা বেড়েছে। তবে এজন্য আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই বছর আমাদের আমন ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। ফলে সেগুলো যখন বাজারে আসবে তখন চালের মূল্য কমে যাবে। সেটাও শিগগিরই বলে আমার ধারণা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চাল উৎপাদনের মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৪ কোটি ১৬ লাখ টন। বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টন।
পিএনএস/এমএইউ
আবারও বাড়ল চালের দর, নেপথ্যে যে কারণ?
14-11-2023 10:05AM