পশ্চিমা ট্যাংকে মোড় ঘুরবে ইউক্রেন যুদ্ধের? যা বলছে বিশ্লেষণ

  29-01-2023 09:45AM



পিএনএস ডেস্ক: গত সপ্তাহে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, কানাডাসহ পশ্চিমা মিত্ররা অত্যাধুনিক ট্যাংক সরবরাহের কথা জানিয়েছে। ফলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে কিয়েভের আত্মবিশ্বাস নিঃসন্দেহে বেড়েছে। কিন্তু এসব ট্যাংক ইউক্রেনকে কতটা এগিয়ে দেবে সেই প্রশ্ন উঠেছে?

যুদ্ধজয়ে দেশটির সামনে সুযোগ তৈরি করবে, নাকি এর মধ্য দিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনী রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে?

নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা শুধু ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ট্যাংক ও সমরাস্ত্র দিচ্ছে না, একই সঙ্গে এসব পরিচালনার জন্য দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণও দেবে। এটি একটি ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ হতে যাচ্ছে, যাকে মার্কিন বাহিনী ‘সমন্বিত অস্ত্রযুদ্ধ’ বলছে। বছরজুড়ে না হলেও, এই কর্মসূচি মাসখানেক চলতে পারে।

হোয়াইট হাউস ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো একদিকে ইউক্রেনের সক্ষমতা এমনভাবে বাড়াতে চায়, যা যুদ্ধক্ষেত্রে বিদ্যমান অচলাবস্থা ভাঙতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে পশ্চিমারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সরাসরি এমন কোনো উসকানি দিতে আগ্রহী নয়, যাতে তিনি যুদ্ধকে প্রলম্বিত করার পথে নিয়ে না যান। ফলাফল হিসেবে বলা যায়, দীর্ঘদিন ধরে যখন পশ্চিমারা কিয়েভকে অত্যাধুনিক ট্যাংক দিতে দ্বিধায় ভুগছিল, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিল, তখন রাশিয়া এই যুদ্ধকে প্রলম্বিত করার কোনো লক্ষণ দেখায়নি। এখন পশ্চিমা অস্ত্র প্রশিক্ষণে নতুন ইউক্রেনীয় সেনা ইউনিট (পশ্চিমা সহায়তার ট্যাংক পরিচালনাকারী) রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের লাগাম টানার এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারে।

ইতিমধ্যে স্যাটেলাইট থেকে তোলা বিভিন্ন ছবি বিশ্লেষণ করে, যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার বাহিনীর প্রতিরক্ষামূলক পরিখা খননের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই মার্কিন প্রশাসন ধারণা করছে, রাশিয়া বড় ধরনের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ২০২৩ সালে ইউক্রেনে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হতে পারে বলে পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।

শীত মৌসুমের শুরুতে যুদ্ধ পরিস্থিতি অনেকটা রাশিয়ার পক্ষে ঝুঁকে যায়। এতে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা একের পর এক বৈঠক করে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় তারা যুদ্ধের মোড় ইউক্রেনের পক্ষে ঘুরিয়ে নেওয়ার কৌশল নির্ধারণে আলোচনা করছে।

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড গত বৃহস্পতিবার দেশটির সিনেটকে বলেন, আমরা তাদের (ইউক্রেনীয় সেনাদের) এমন একটি সম্ভাব্য সর্বোত্তম অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই, যাতে চলমান যুদ্ধ মাঠেই শেষ হয়। কিংবা কূটনীতি বা দুটির সমন্বয়ে হতে পারে।

এ বিষয়ে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনর রাশিয়াবিষয়ক বিশ্লেষক মিখায়েল কফম্যান বলেন, ইউক্রেনকে দেওয়া পশ্চিমাদের সহায়তা প্যাকেজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হলো সাঁজোয়া যান, কামান ও নির্ভুল আঘাত হানতে পারে এমন অস্ত্র। প্রতিশ্রুত স্বল্পসংখ্যক ট্যাংক এই প্যাকেজের তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন