প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার

  17-06-2022 11:57PM

পিএনএস ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মো. সাদ্দাম (২৫) ও রিয়াজ হোসেন (২৮) নামে স্থানীয় দুই বখাটের নামে সদর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন স্কুলছাত্রীর বাবা মো. মিলন হোসেন।

তিনি বলেন, প্রাইভেট পড়তে যাবার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়েই আমার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আমি ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করেছেন। এর আগে তার মেয়ের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে।

সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামী এখনো গ্রেফতার হয়নি। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ভূক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চর মনসা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মিলনের স্কুল পড়ুয়া ৭ম শ্রেণীর মেয়েকে গত ১১ জুন (শনিবার) সন্ধ্যায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে প্রতিবেশি দেলোয়ার হোসেন চেরাং এর ছেলে সাদ্দাম ও নুর ইসলাম ড্রাইভারের ছেলে রিয়াজ। বিষয়টি প্রথমে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা উদ্যোগ নেওয়ায় ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করেনি ভিকটিমের পরিবার। এছাড়া ধর্ষণকারীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে ভূক্তভোগীর পরিবারকে।

তবে ধর্ষণের ঘটনা হওয়ায় স্থানীয়রা থানা পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ১৩ জুন স্কুলছাত্রীর বাবা সদর থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়।

বাদি মিলন হোসেন বলেন, আমরা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে শ্বশুর নুরনবীর বাড়িতে বসবাস করি। আমার মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীতে পড়ে। সে পাশের বাড়ির এক মেয়ের কাছে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে ১১ জুন মাগরিবের নামাজের পর ঘর থেকে বের হয়। প্রায় আধাঘন্টা পর সে ঘরে এসে কাঁদতে থাকে। এসময় তাকে ভীতসন্ত্রস্ত এবং তার পরনের জামা ছেঁড়া দেখা যায়। পরে সে আমাদের জানায়, ঘর থেকে বের হয়ে কিছুদূর যাবার পর সাদ্দাম ও রিয়াজ তাকে মুখ চেপে ধরে একটি বাগানে নিয়ে যায়৷ সেখানে দুইজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার সাথে খারাপ কাজ করে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকার গন্যমাণ্য লোকজনকে জানাই। প্রথমে তারা বিচারের আশ্বাস দিলেও পরে আইনী সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

তিনি বলেন, আমার মেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি মামলা করেছি। পুলিশ যেন দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুজতবা আহম্মদ তুহিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মেয়ের বাবা বিষয়টি আমাকে ফোনে জানিয়েছে। আমি থানা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিই।

এদিকে মামলার প্রধান আসামী সাদ্দাম হোসেনের পিতা দেলোয়ার হেসেন চেরাং বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন