খরস্রোতা আত্রাই নদী এখন ধু ধু বালুচর

  04-12-2022 03:22PM




পিএনএস ডেস্ক: এটি বালুচর, রাস্তা কিংবা নিচু সমতল ভূমি নয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হতেই জেগে উঠেছে খরস্রোতা আত্রাই নদীর বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের বালু চর। ৪৯২ মিটার দীর্ঘ জিয়া সেতুর নিচে নদীর বেশির ভাগই বালু চরে পরিণত হয়েছে। আর যে অংশে পানি আছে তাও পরিমাণে কম। নাব্যতা হারিয়ে এ অবস্থা নদীর বিভিন্ন স্থানে। দিনাজপুরের খানসামাসহ বিভিন্ন এলাকার উপর বয়ে যাওয়া খরস্রোতা আত্রাই নদী এখন ধু ধু বালুচর।

খানসামা উপজেলার পশ্চিম সীমানা জুড়ে ঐতিহ্যবাহী আত্রাই নদী প্রবাহিত হচ্ছে। এ জনপদটির বিকাশ ঘটেছে এই আত্রাই নদীকে কেন্দ্র করে। কিন্তু সেই খরস্রোতা আত্রাই নদী দীর্ঘদিন ধরে নদীর বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে বালুচর। হারিয়েছে নদীর নাব্যতা। নদীর অনেক স্থানে কেউ কেউ বিভিন্ন প্রকার ফসল চাষও করছে। আবার কেউ চারা বীজ করছে।

শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, মমিনুলসহ কয়েকজন জানায়, খরস্রোতা আত্রাই নদী এখন যেন মরা খালে পরিণত হয়েছে। একসময় মাছ ধরে জিবিকা নির্বাহ করতো পাড়ের কয়েক’শ জেলে পরিবার। নদীতে পানি নাই তাই জেলে পরিবারগুলোর পেশা পরিবর্তন করেছে। উত্তাল নদীটি এখন শুধু বালুচর। তবে বর্ষার সময় নাব্যতা কমে যাওয়ায় নদী পানিতে ভরে যায়। কিন্তু খরা মৌসুম শুরু হতেই নদীটির বিভিন্ন স্থানে আবার পানি কমতে থাকে। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে এ নদীর পানি অনেক স্থানে কমে চলে আসে হাটুর নিচে। এ সময় এলাকার মানুষ হেঁটেই পারাপার হয় নদী।

তারা আরও জানায়, বর্ষা মৌসুমেই নদীটির ভরা যৌবন থাকে। সে সময় আত্রাই নদীর তর্জন-গর্জনে নদী তীরবর্তী মানুষের বুকে কম্পনের সৃষ্টি করে। জীবিকার সন্ধানে নদী সংলগ্ন ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য জেলে পরিবারের বসতি আছে। ছোট-বড় নানা প্রজাতির মাছের অফুরন্ত উৎস এই নদী। জীবিকার জন্য মাছের আশায় জেলেরা রাতদিন ডিঙি নৌকায় জাল দড়ি নিয়ে চষে বেড়াতেন নদীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ধরা পড়তো প্রচুর মাছ। তবে এখন পানি কমে বালু চর হওয়ায় মাছ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।


পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন