১৩ বছরেও নিবন্ধন রিনিউ করতে পারেননি সংযুক্তা সাহা

  24-06-2023 04:13PM

পিএনএস ডেস্ক : বিগত ১৩ বছর ধরে বিএমডিসির নিবন্ধন নেই আলোচিত গাইনি চিকিৎসক সংযুক্তা সাহার। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি এত ব্যস্ত থাকি যে, সময় পাইনি। এটা আমার ভুল হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় নিজ বাসায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. সংযুক্তা বলেন, আমার নিবন্ধন নেই, বিষয়টি কিন্তু এমন না। নিবন্ধন আছে, তবে সেটি রিনিউ করা হয়নি। বিএমডিসিতে রিনিউয়ের একটা ফি দিতে হয়, এটা গত বছর থেকেই অনলাইনে সিস্টেম ছিল, এটা আমি জানতাম না।

তিনি বলেন, আমি তো আমার বাসায় আসারই সময় পাই না। নতুন চাকরির ক্ষেত্রে আমাদের কাগজপত্র ঠিক করতে হয়, আমার নতুন কোনো চাকরি হয়নি, তাই কাগজপত্র ঠিক করা হয়নি।

নিবন্ধনের জন্য ১৩ বছরে একবারও সময় হয়নি? জানতে চাইলে সংযুক্তা বলেন, যখন থেকে আমি মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে বিভাগীয় প্রধান ছিলাম, তখন নিবন্ধনের বিষয়গুলো তারাই হ্যান্ডেল করত। কাগজপত্র নিয়ে তারাই রিনিউ করে নিয়ে আসতো। সেন্ট্রাল হসপিটালে আসার পর সেটি আর হয়ে ওঠেনি।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ডা. মুনা ও ডা. শাহজাদির কল রেকর্ড শোনান। যেটাতে স্পষ্ট যে, ডা. মুনা আঁখিকে ভর্তির প্রক্রিয়ার সময় থাকলেও তিনি ভেবে নেন যে, সিনিয়র ডা. শাহজাদি গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহা ম্যাডাম যে নেই সে বিষয়ে কথা বলবেন। আবার ডা. মুনা দেখার পরে ডা. শাহজাদি রোগীকে গাইনি রুমে নিয়ে যান। তাই তিনি ভাবেন যে, ডা. মুনা বলেছেন যে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহা ম্যাডাম নেই। যার ফলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালে সি-সেকশন সার্জারির সময় এক নবজাতকের মৃত্যু হয় এবং মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। কয়েকদিন পরে মাহবুবা রহমান আঁখি নামের ওই মা অপর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এই ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলা ও মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।

সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি হয়েছিলেন আঁখি। অভিযোগ রয়েছে- রোগী ও তার পরিবারকে সার্জারির আগে বলা হয়েছিল যে, ডা. সংযুক্তা সাহা অপারেশন করবেন। হাসপাতালে তাকে ওই চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি করা হলেও ডা. সংযুক্তা সাহা দেশেই ছিলেন না। অন্য চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা ব্যর্থ হলে তখন অস্ত্রোপচার করে বাচ্চা বের করা হয়। পর দিন মারা যায় শিশুটি।

পিএনএস/এমবিবি

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন