সুজনকে কেন ‘চাচা’ ডাকা হয়!

  08-12-2023 12:14PM



পিএনএস ডেস্ক: ক্রিকেট মাঠে প্রায় চিৎকার করে শোনা যায় চাচা। দেশের ক্রিকেটের একেবারে ঘাসের সঙ্গে যাদের পরিচয়, তারা নিশ্চয়ই এই ডাকের সঙ্গে মানুষটিকেও চেনেন। তবে যারা চেনেন না, তাদের জন্য মানুষটির ভিন্ন পরিচয় রয়েছে। তিনি খালেদ মাহমুদ সুজন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুপরিচিত একটি মুখ।

ক্রিকেটার থেকে শুরু করে এ সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ পদেই তিনি আছেন। সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে শুরু করে কোচিং সবখানেই রয়েছে তার বিচরণ। তাকে হয়তো সবার ভিন্ন ভিন্ন নামেই সম্বোধন করার কথা। তবে একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দুই দশকের সব ক্রিকেটারের কাছে তিনি চাচা হিসেবেই পরিচিত, যা ছড়িয়ে গেছে পরবর্তী প্রজন্মেও।

কেন এই ডাক?

এর পেছনে রয়েছে চমৎকার এক গল্প। খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রায় সমসাময়িক ক্রিকেটার ছিলেন হালিম শাহ। এক সময় তিনিও ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি আছেন চর্চার এক বিষয় হয়ে। শুরুটা মূলত বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দিয়ে। সেখানে তিনি আলো ছড়িয়েছেন। জ্বেলেছিলেন সম্ভাবনার প্রদীপ। প্রতিভাবানও ছিলেন বটে।

তার অন্য আরও একটি পরিচয় হচ্ছে- তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম ফাস্ট বোলার জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা ও সাবেক আন্তর্জাতিক আম্পায়ার নাদির শাহর ভাই। ব্যাটার হিসেবে হালিম শাহর কদর ছিল বেশ।

ঘরোয়া ক্রিকেটের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আলো ছড়াবেন তিনি, সেই প্রত্যাশাই ছিল সবার। তবে সব প্রত্যাশার শেষপ্রান্তে নিশ্চয়ই সুখকর সমাপ্তি থাকে না। হালিম শাহের ক্ষেত্রেও ঘটেছিল তাই।

সেই হালিম শাহই মূলত ‘চাচা’ বলে সম্বোধন করতে শুরু করেন খালেদ মাহমুদ সুজনকে। কারণ তিনি কোনো একভাবে জানতে পারেন সুজন তার দূরসম্পর্কে চাচা। ব্যাস! মাঠে-ঘাটে সর্বত্র সুজনকে চাচা বলেই ডাকতে শুরু করেন তিনি। চাচাকে তো আর যাই হোক ভাই ডাকা যায় না।

২০০৫ সালে তিনি বিদায় নেন ক্রিকেট থেকে। তবে তিনি যাকে চাচা বলে ডাকতেন, তিনি ক্রিকেট ছেড়েছেন আরও এক বছর বাদে। খালেদ মাহমুদ সুজন ২০০৬ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানান। হালিম শাহ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতে পারেননি। তবে সুজন ঠিকই পেরেছিলেন।

তবে হালিম শাহর শুরু করে দেওয়া সেই ডাক যেন ধ্রুবক হয়ে জুড়ে গেছে খালেদ মাহমুদ সুজনের নামের পাশে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের আপামর ক্রিকেটাররা তাকে চাচা বলেই ডাকেন। সেখানে প্রজন্ম কিংবা বয়সের কোনো বালাই নেই।

দুজন এখন ভিন্ন দুই পথের পথিক। ক্রিকেট পাড়ায় হালিম শাহ এখন আর তেমন একটা বিচরণ করেন না। তবে তার ফেলে যাওয়া চাচা ডাক রঙের আভা ছড়িয়ে এখনো রয়েছে বহাল তবিয়তে।


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন