সেতু নেই, ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার

  11-10-2021 01:02PM

পিএনএস ডেস্ক: দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে নৌকায় নদী পারাপার হতে হচ্ছে ১০ গ্রামের মানুষকে। বর্ষা মৌসুমে এখানকার লোকজনকে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি দিতে হয় রহমতখালী খাল।

লক্ষীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের মজু চৌধুরী হাট এলাকার ধান হাটা মতিন মাঝির খেয়াঘাটে রহমতখালী খালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের।

সুইচগেট সংলগ্ন হওয়ায় নদীতে বর্ষায় স্রোত বেড়ে গেলে আতঙ্ক বেড়ে যায় দুই তীরের মানুষের। ছোট হাত নৌকায় রশি টেনে অথবা বৈঠা বেড়ে দুই তীরের মানুষকে পারাপার হতে হয় এ সময়।

উপজেলা ও জেলা সদরের সঙ্গে চলাচলের সহজ পথ হওয়ায় রশি টেনেই নৌকা পারাপার এখানকার মানুষের একমাত্র ভরসা।

চরআলীহাসান, চরমার্টিন, ভবানীগঞ্জ, কালিরচর, টুমচর, চররমনীমোহনসহ অন্তত ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে চরম দূর্ভোগ নিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। উন্নত যোগাযোগের অভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি সব দিকে পিছিয়ে এসব এলাকার মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুম আসলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। পায়ে হেঁটে, কাদামাটি মাড়িয়ে তবেই এই এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। তবে বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, অনেক বছর ধরে এ এলাকায় কষ্টে আছি। অনেক জনপ্রতিনিধি আসে ভোট চাইতে কিন্তু কেউ কথা রাখে না। রহমতখালী খালের ওপর সেতু না থাকায় সারাবছর যোগাযোগে আমাদের চরম বেগ পেতে হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য চুন্নু বলেন, রহমতখালী খালের মতিন মাঝির খেয়াঘাটে সেতু না থাকায় আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে নদী পারাপার হতে হয়।

মো. চুন্নু আরও বলেন, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি. একটি সেতু নির্মাণ। সেতুটি নির্মাণ হলে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে কৃষকরা।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন