জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সুগন্ধি জাতের ধান ব্রি-৩৪

  25-11-2016 11:26AM

পিএনএস ডেস্ক: চলতি বছর আমন মৌসুমে দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলায় বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্রি-৩৪ জাতের ধান চাষ করেছেন কৃষকেরা। এর আগে এসব জমিতে ভারতীয় স্বর্ণা ধানের চাষ করতেন তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আউলিয়া পুকুর, পুনট্রি, আব্দুলপুর, ভিয়াইল, ফতেজংপুর, সাতনালাসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৮ শত ৬১ হেক্টর জমিতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত ব্রি-ধান ৩৪ জাতের সুগন্ধি ধানের চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরে ছিলো ৩ হাজার ৫ শত ৭১ হেক্টর। এবার তা তিন গুণ ছাড়িয়ে গেছে।

কৃষকরা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগিতায় এ ধান চাষ করছেন। সুগন্ধি ধানে কৃষকের জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে ও মৌ মৌ সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। এছাড়া ফলন ভালো হওয়ায় এলাকার কৃষকরা এসব জাতের ধান চাষে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।

চিরিরবন্দর উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের কৃষক মো. মহসীন আলী, ভিয়াইল ইউনিয়নের কৃষক হাবিবুর রহমান ও মতিয়ার হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর তারা ৮০ ভাগ জমিতে ব্রি-৩৪ জাতের ধান চাষ করেছেন। এক সময় অবস্থা সম্পন্ন কিছু কৃষক সুগন্ধি ধানের চাষ করতেন। কিন্তু এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই ধানের চাষ করে সফল হচ্ছেন অনেকেই।



তারা বলেন, ব্রি-ধান ৩৪ এর চাল সুগন্ধযুক্ত। পোলাও এর জন্য খুবই উপযোগী। উৎপাদন খরচ কম, দাম বেশি এবং ফলন অনেক ভাল হওয়ায় কৃষকেরা এ জাতের ধান চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। তা ছাড়া এ ধানের রোগ বালাইও হয় না। তাই ফলন কম হওয় বা চাষিদের লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।

চিরিরবন্দর উপজলার রাণীরবন্দরের চাল ব্যবসায়ী বাবলু জানান, সুগন্ধিযুক্ত ও চিকন চাল প্রচুর পরিমানে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। বাজারে এ ধানের চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি।

উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘উপজেলায় সুগন্ধি ধান চাষের ঐতিহ্য রয়েছে। এ জাতীয় ধানের আবাদ পরিবেশ সম্মত এবং অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে ফলে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এ জাতীয় ধান চাষে কৃষকের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন