সরকার ১১ লাখ টন নন-ইউরিয়া সার কিনছে

  24-06-2017 12:31PM

পিএনএস ডেস্ক:আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ১০ লাখ ৯৫ হাজার টন নন-ইউরিয়া (টিএসপি, এমওপি, ডিএপি এবং পাউডার এমএপি) সার কিনছে সরকার। ব্যবসায়ীদের তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সর্বনিম্ন দরে এবার সার সংগ্রহ করতে পারছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে কার্যাদেশ প্রদান ও এলসি খোলার পক্রিয়া।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সার আমদানির লক্ষ্যে গত ১৫ মে সার ব্যসসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজারস অ্যাসোসিয়েশনকে (বিএফএ) চিঠি দিয়ে প্রাইস কোটেশনের মাধ্যমে টিএসপি, এমওপি, ডিএপি ও পাউডার এমএপি সারের আমদানিমূল্য আহ্বান করে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে মোট ১০২টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। যার মধ্য থেকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে ৪১ প্রতিষ্ঠান সার আমদানির জন্য নির্বাচিত হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জতা রেখে এবার সার আমদানি হচ্ছে। ‘দর’ বিশ্লেষণে যার সুবিধা পাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ‘প্রাইজ কোটেশন’ ঘোষণার কারণে ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়, এতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম দামে সার মিলছে।

জানা যায়, ৪ লাখ ৫০ হাজার টন ডিএপি আমদানির জন্য ৪৬টি প্রতিষ্ঠান মূল্য তালিকা জমা দেয়। এরমধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ১০ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। যার সর্বনিম্ন মূল্য প্রতিটন ৩৪০ ইউএস ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৩৪৯ ডলার (চট্টগ্রামবন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত)। ২ লাখ ৭৫ হাজার টন টিএসপি আমদানির জন্য ১৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এরমধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ১৬ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। যার সর্বনিম্ন মূল্য প্রতিটন ৩২৪ ইউএস ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৩৫৫ ডলার (চট্টগ্রামবন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত)। ৩ লাখ ৫০ হাজার টন এমওপি আমদানির জন্য ৩২ প্রতিষ্ঠান মূল্য তালিকা জমা দেয়। এরমধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ১২ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। যার সর্বনিম্ন মূল্য ২৪৫ ইউএস ডলার থেকে সর্বোচ্চ ২৫৪.৪০ ডলার (চট্টগ্রাম বন্দর পৌঁছানো পর্যন্ত)। এছাড়া ২০ হাজার টন পাউডার এমএপি আমদানির জন্য ৫ প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এরমধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ৩ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। যার সর্বনিম্ন মূল্য প্রতিটন ৩৩৯ ইউএস ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ ডলার (চট্টগ্রাম বন্দর পৌঁছানো পর্যন্ত)।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব বদিউল আলম জানান, সার আমদানির লক্ষ্যে গত ৫ জুন কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে আর ২১ জুন এলসি খোলার অনুমতি পেয়েছে ব্যবসায়ীরা। এবার কম মূল্যে সার প্রাপ্তির বিশ্লেষণ তুলে ধরে আন্তর্জাতিকভাবে সারের মার্কেট প্রাইস মনিটরিং সংস্থা argusmedia.com এর ১৫ মে (সর্বশেষ) প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে এখন ডিএপি সারের মূল্য ৩৪৭ থেকে ৩৬২ ইউএস ডলার। আর প্রাইজ কোটেশান অনুযায়ী ৩৪০ থেকে ৩৪৯ ডলারের মধ্যে সার পাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও গত ১২মে আমদানি করেছে ৩৫৭ থেকে ৩৬১.৮৫ ডলারে। আর্ন্তজাতিক বাজারে এখন এমওপি সারের মূল্য ২৫৫ থেকে ২৭০ ইউএস ডলার। আর


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন