পিএনএস, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম রপ্তানী দ্রব্য সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ির অস্বাভাবিক মূল্য হ্রাসে চাষীরা দিশেহারা। খুলনা জেলার রপ্তানীকৃত চিংড়ির সিংহভাগই চাষ হয় পাইকগাছা অঞ্চলে। প্রতি বছর এ খাত থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব লাভ করে সরকার। কিন্তু চলতি বছরসহ বিগত ৩ বছর ধরে দফায় দফায় চিংড়ির দাম পতনে চাষীদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে।
বাগদা চিংড়ি চাষীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, মৌসুমের শুরুতে ২০ গ্রেডের চিংড়ির মূল্য ছিল প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, বর্তমান ৬০০ টাকা। ৩০ গ্রেডের মূল্য ছিল প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, বর্তমান ৫০০ টাকা। ৪৪ গ্রেডের প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, বর্তমান মূল্য ৪০০ টাকা। ৬৬ গ্রেডের পূর্ব মূল্য ৪০০ টাকা, বর্তমান ২৮০ টাকা। গত ৩ বছর আগে ২০ গ্রেড বাগদার মূল্য ছিল ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, ৩০ গ্রেডের ৭৫০ টাকা, ৪৪ গ্রেডের মূল্য ছিল ৬৫০ টাকা, ৬৬ গ্রেডের ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা।
উপজেলার প্রান্তিক চিংড়ি চাষীদের সাথে আলাপকরে আরো জানাযায়, চিংড়ির এমন মূল্য হ্রাসের সাথে এ অঞ্চলের ডিপো মালিকদের মধ্যে সমঝোতায় অধিক লাভবান হওয়ার পরিকল্পনায় প্রতি বছর মে মাসের শুরুতে এভাবে তাদের চাষকৃত চিংড়ির দাম হ্রাস করে থাকে। অন্যদিকে চিংড়ি চাষীরা অধিক মূল্যে জমির হারি প্রদান, চড়া মূল্যে রেণু বাগদা ক্রয় ও অন্যান্য খরচ করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। চিংড়ির এমন দাম কমায় এ অঞ্চলের বহু ঘের মালিক ব্যাংক ঋণ ও মহাজনী দেনা পরিশোধে ব্যার্থ হয়ে দেওলিয়া হয়ে গেছেন।
পিএনএস/এসআইআর
বাগদা চিংড়ির মূল্য হ্রাসে দিশেহারা চাষীরা
03-09-2020 06:40PM