অধিক ফলন পেতে কৃষকরা ব্যস্ত বোরো ক্ষেতে

  03-03-2021 04:58PM

পিএনএস, গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে ইরি-বোরো ধান ক্ষেত এখন গাঢ় সবুজের বিপ্লব। চারিদিকে নজর কাড়ছে সবুজের সমাহার। আর এসব ক্ষেত থেকে অধিক ফলন পাবার আশায় ইতোমধ্যে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সরেজমিনে বুধবার (৩ মার্চ) গাইবান্ধার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের ইরি ধান ক্ষেতগুলো পরিচর্যাসহ সার-কীটনাশক প্রয়োগে চরম ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন। যেন দম ফেলানোর ফুসরত নেই তাদের।

জানা যায়, কৃষি ভাণ্ডার জেলা হিসেবে পরিচিত গাইবান্ধা জেলা। এ জেলার প্রান্তিক কৃষকরা বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি ইরি-বোরো ধানের উপর নির্ভশীল। এ ফসল বিক্রি করেই মৌলিক চাহিদা মেটান এখানকার কৃষকরা।

ইতোমধ্যে প্রচণ্ড শীত উপক্ষা করে কাঁদা মাটিতে রোপণ করেছেন বোরো ধানের চারা। রোপণকৃত এ ক্ষেত হলদে বর্ণ থেকে ধীরে ধীরে এখন সবুজে পরিণত হয়েছে। ফলে এ বছর দেখা দিয়েছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অধিক ফলন ঘরে তুলতে পারবে বলে এমনটাই আশা করছেন কৃষকরা।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সেটি অর্জিত হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশী পরিমাণে।

কৃষক আজগর আলী জানান, চলতি মৌসুমে ধান আবাদ করতে নানা বেগ পেতে হচ্ছে। একদিকে সার-কীটনাশকের দাম ঊর্ধ্বগতি। অপরদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ কার্য ব্যাহত হচ্ছে। এমন প্রতিকুলতার মধ্য দিয়েও চেষ্টা করা হচ্ছে অধিক ফলন নিতে।

কৃষক বাবুল মণ্ডল বলেন, গত বছরের বন্যার ক্ষতির পুষিয়ে নিতে এবছর দুই একর জমিতে ইরি ধান আবাদ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সরকার যদি কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায়্য মূল্য দিয়ে সরাসরি ধান ক্রয় করেন তাহলে লাভবান হওয়া সম্ভব।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, কৃষকদের লাভবান করতে ইতোমধ্যে নানা ধরণের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।সেই সঙ্গে ভালো ফলন ঘরে তোলার লক্ষ্যে তাদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

পিএনএস/এসআইআর

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন