ফেনী কলেজে শিক্ষার্থীদের গণইফতারে ছাত্রলীগের হামলা: আহত ১০

  19-03-2024 12:28PM

পিএনএস ডেস্ক: ফেনী কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গণইফতার কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এতে ১০জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সোমবার কলেজ ক্যাম্পাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন- ফেনী কলেজের বিবিএ শিক্ষার্থী আলী আহাম্মদ ফোরকান, বিএসসির সাইফুল ইসলাম ও এমরান হোসেন এবং গণিত বিভাগের আবদুল মোহাইমিন আজিম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টির ওপর ‘বিধিনিষেধ’ আরোপের প্রতিবাদে সোমবার ফেনী কলেজ আঙ্গিনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী তৎসংলগ্ন ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদে আসর নামাজ শেষে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। খবর পেয়ে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি নোমান হাবিবের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের জড়ো হওয়ার কারণ জানতে চান।

এর কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও কলেজছাত্র সংসদের ভিপি তোফায়েল আহমেদ তপু। তখন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ব্যাট ও স্ট্যাম্প দিয়ে শিক্ষার্থীদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে আজিমকে কলেজের একটি কক্ষে আটকে রেখে অন্যদের বের করে দেয়া হয়। ইফতারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজ গেটে এলে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

আহত শিক্ষার্থী আলী আহাম্মদ ফোরকান বলেন, ছাত্রলীগ নেতাদের বাধায় ইফতার মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়। তাদের হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

মারধরের শিকার আবদুল মোহাইমিন আজিম জানান, ইফতারে অংশ নিতে এলে তাদের ব্যাট-স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে তাকে আটকে রাখার আধাঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি নোমান হাবিব বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কলেজে ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করে ছাত্রশিবির। ফেসবুকে গণ ইফতার নামে একটি আয়োজন দেখতে পাই। পরে সেখানে গিয়ে দেখি তারা জড়ো হচ্ছেন। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় তাদের কলেজ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।

ফেনী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও কলেজ ছাত্র সংসদের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, ক্যাম্পাসে অরাজকতা করতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণ ইফতারের আয়োজন করে ছাত্রশিবির। বিষয়টি কলেজ প্রশাসন ও ছাত্র সংসদের কেউ জানতো না। নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে কলেজে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করি। তবে সেখানে কাউকে পেটানো হয়নি বলে দাবি তার ।

ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শিবির নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন বলে জেনেছি। ঝামেলার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। তারপরও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন