তিস্তায় রেড এলার্ট জারি, পানিবন্দী হাজারো মানুষ

  20-10-2021 09:41PM

পিএনএস, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ কার্তিকের শুষ্ক মৌসুমে ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে আকাশের ভারী বৃষ্টিতে তিস্তায় পানি হুহু করে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে দেখা দিয়েছে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা।

এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে হাজার হাজার মানুষ হয়েছে পানি বন্দী, সহস্রধিক একর ধান ক্ষেত পানির নিচে,যার ফলে কৃষকগন দিয়েছেন মাথায় হাত। ভেঙ্গে গেছে বাঁধ সহ রাস্তাঘাট।

বুধবার (২০ অক্টোবর ) ভোর থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে তিস্তারচর অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।

ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবার গুলো উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

কার্তিক মাসের শুষ্ক মৌসুমে হঠাৎ এমন বন্যা দেখেনি তিস্তাপারের চড়বাসী। গতরাত থেকে বুঝে উঠার আগে ঘরবাড়িতে হু হু করে পানি প্রবেশ করলে আতঙ্ক বিরাজ করে চারদিক।

বুধবার সকাল ৯ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার। যা বিপদ সীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপরে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি জল কপাটের গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে তিস্তা শুকিয়ে জেগে উঠেছিল চর। হঠাৎ তিস্তার পানিতে সব ডুবে গিয়ে তিস্তা ফিরে পেয়েছে নতুন যৌবন।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারাজ পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। বুধবার সকাল ৯ টায় পয়েন্টে ৫৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদৌলা তিস্তা নদী ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে এই পরিস্থিতিতে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে তারপরও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

তিস্তা এলাকার মানুষদের লাল সংকেত দিয়ে নদী পশু পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী বন্যা এলাকা পরিদর্শন শেষে দূরগত মানুষ দের জন্য ৪০মেঃ টন চাউল ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন