এক স্বামী নিয়ে দুই স্ত্রীর কাড়াকাড়ি, অতঃপর...

  26-04-2024 10:41PM

পিএনএস ডেস্ক: অষ্টম শ্রেণি পাশ আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম (৩৮)। বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। কর্মরত আছেন ঢাকার সুত্রাপুর থানায়। একে একে বিয়ে করেছেন সাতটি। যেখানেই যান সেখানেই বিয়ে করেন। সবশেষ বিয়ে করেছেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটিতে। বর্তমানে তিন নম্বর স্ত্রী পারভীন গ্রামে আর ষষ্ঠ স্ত্রী যশোরের বেনাপোল রয়েছেন। দুই স্ত্রীর দুইটি সন্তানও রয়েছে।

ষষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী আড়াই বছরের কন্যাসন্তানকে নিয়ে স্বামীকে ফিরে পেতে আসেন ঝিনাইদহের পবহাটিতে। সেখানে বেধে যায় রণক্ষেত্র। স্বামীকে নিতে শুরু হয় কাড়াকাড়ি। উপায় না পেয়ে কোনমতে পালিয়ে বাঁচে আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।

হোসনে আরা আক্তার সাথী বলেন, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় আমাদের এলাকায় আসতো তরিকুল। নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। তার কথায় ভুলে আমার পরিবার ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তার সঙ্গে বিয়ে দেয়। সেই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আমার কাছেই থাকতো। দুই বছর আগে ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে আমার খোঁজ খবর নেয়া বন্ধ করে দেয় তরিকুল।

তিনি আরো বলেন, আমার ও আমার সন্তানের কোনো খরচ দিতো না সে। ঢাকায় যাওয়ার পর ইমোতে পরিচয় হয় ঝিনাইদহের পবহাটি এলাকার ঐ মেয়ের সঙ্গে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সেজুতিকে বিয়ে করে। এরপর থেকে আমার সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গত ঈদে আমার কাছে গিয়ে ছয়দিন ছিলো। আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে এসেছে। তারপর সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমার আড়াই বছরের মেয়েটি বাবার জন্য সবসময় কান্নাকাটি করে। ঝিনাইদহ আছে এমন খবর পেয়ে আমরা ঐ বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আর বাড়ি থেকে পালিয়েছে তরিকুল। আমি তরিকুল ও সেজুতির বিচার চাই।

এ ব্যাপারে আনসার সদস্য তরিকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন