কলারোয়ায় আ.লীগ নেতার নির্বাচনী সভায় ভোট চাইলেন বিএনপি নেতা

  06-05-2024 01:28AM

পিএনএস ডেস্ক সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম লাল্টুর নির্বাচনী সভায় প্রকাশ্যে ভোট চাইলেন কলারোয়া পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শওকত হোসেন।

পাশাপাশি একই রাজনৈতিক সভায় সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে অংশ নিতে দেখা গেছে জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আফতাব আহমেদকে। বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে রাজনৈতিক মহলে।

শনিবার (৫ মে) বিকালে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড গদখালী গ্রামে ওই নির্বাচনী সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি নেতা শওকত হোসেন যখন বক্তব্য দেন তখন তার পাশে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেতা মফিজুল ইসলাম লাভলুসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি উপস্থিত জনসাধারণকে দুই হাত উঁচু করে তিন প্রার্থী, যারা আওয়ামী লীগ নেতা তাদেরকে ভোট দেওয়ার জন্য অঙ্গীকার করান।

তার বক্তব্যের পরেই সেখানে উপস্থিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লালটু বক্তব্য দেন। সে সময় তার পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিএনপি নেতা শওকত হোসেন। তখন তাকে হাস্যজ্জল দেখা যায় ও বারবার হাততালি দিতেও দেখা গেছে।

বিএনপি ভোট বর্জন করছে তবুও তিনি কেন সরাসরি আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্বাচনী উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিলেন—এমন প্রশ্নের জবাবে পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শওকত হোসেন বলেন, 'একজায়গায় বাড়ি সেই হিসেবে দুটো কথা বলতে হইছে। আমি এড়াতে পারিনি। তাতে যদি বিএনপি ব্যবস্থা নেয়, তা নিক।'

এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র অধ্যক্ষ রইছ উদ্দিন বলেন, 'বিএনপি ভোট বর্জন করছে। সেখানে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোট কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শওকত হোসেনের বিষয়টা আমি জানি না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। যদি এমনটা হয় তবে অবশ্যই সংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করছে। সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ভোট কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়া বা ভোট দিতে যাওয়া বিএনপির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো। যারা বিএনপিকে ভালোবাসেন তারা অবশ্যই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন। তা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা জানেন এরই মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বহিষ্কার করা হচ্ছে।'

এদিকে, কলারোয়া পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেনের প্রকাশ্যে এমন কর্মকাণ্ডে বিএনপির সমর্থকদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে পারে বলে নেতাকর্মীরা মনে করছেন। তারা অবিলম্বে শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। যাতে আর কেউ দলের পদে থেকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করতে না পারে।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন