দ্বিতীয় দিনে প্রায় ৫৬ বস্তা ধান বুঝে পেলো সাঁওতালরা

  26-11-2016 12:34PM

পিএনএস ডেস্ক: দ্বিতীয় দিনের মতো গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের ৩০ একর জমিতে সাঁওতালদের চাষ করা রোপা আমন ধান কেটে ৫৬ বস্তা ধান সাঁওতালদের বুঝিয়ে দিয়েছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় খামারের জমি থেকে কাটা ৫৬ বস্তা ধান সাঁওতাল নেতা আনসেল হ্রেমব্রমের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চিনিকল শ্রমিকদের সহায়তায় মেশিন দিয়ে ধান কাটা হয়।

এর আগে প্রথমদিন বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ধান কাটা হয়। প্রথমদিনে ১৭ জন সাঁওতালের কাছে ২৬ বস্তা ধান বুঝে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দু’দিনে ৮২ বস্তা ধান সাঁওতালদের বুঝিয়ে দেয়া হলো।

সাঁওতালদের ধান বুঝে দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আউয়াল, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল হান্নান ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আহাদ আলী।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে খামারের জমির ধান কাটা শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত চলে ধান কাটা। পরে ৫৬ বস্তা ধান সাঁওতালদের পক্ষে গ্রহণ করেন তাদের নেতা আনসেল হ্রেমব্রম।

রংপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আউয়াল জানান, প্রতিদিন ধান কাটার পর বস্তা করে তালিকা অনুযায়ী সাঁওতালদের কাছে তা দেয়া হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ৫৬ বস্তা ধান সাঁওতাল নেতা আনসেল হ্রেমব্রমকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, বাকী জমির ধান কাটতে কয়েকদিন সময় লাগবে। সাঁওতালদের রোপণ করা ধান পর্যায়ক্রমে কেটে তালিকা অনুযায়ী তাদের দেয়া হবে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ধান কাটা শুরু করা হয়। এর আগে ধান কাটার বিষয়ে একাধিকবার সাঁওতালদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। কিন্তু ধান কাটার ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করায় মিল কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে ধান কাটা শুরু করে।

তিনি আরও জানান, দ্বিতীয় দিন সুষ্ঠুভাবে ধান কাটা শেষে সাঁওতালদের ধান বুঝিয়ে দেয়া হয়। ধান কাটার সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো খামার এলাকায় মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন