কেন্দ্র দখল ও ভোটে জয়: আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার অভিযোগ

  08-12-2021 09:40PM

পিএনএস ডেস্ক: সদ্যসমাপ্ত হওয়া তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্যদের ভোট কারচুপি করে জিতিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ও কেন্দ্র খরচের নামে বিভিন্ন ইউপি সদস্য প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এমন অভিযোগ বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনীত নির্বাচনকালীন কেন্দ্র আহবায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আলম প্রকাশ শফি মেম্বারের বিরুদ্ধে।

বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা জানাজানি হলে পরাজিত প্রার্থীরা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিও ঘটে এই উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতার সঙ্গে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেন্দ্র দখলের মাধ্যমে প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিত অভিযোগ করেন বিভিন্ন প্রার্থী।

ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে অংশ নেওয়া আবু নাঈম বলেন, শফিউল আলম চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হওয়ায় তিনি ফলাফল যেমন ইচ্ছে তেমন করতে পারবেন মর্মে হুমকি দেন। তাই জিততে চাইলে উনাকে টাকা দিতে জানান। শফিউল আলমের কথা অনুযায়ী প্রথম কিস্তিতে ৫০ হাজার, ২য় কিস্তিতে ৫ হাজার ও উনার নির্দেশে উনার আত্মীয়স্বজনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিতে হয়েছে আরও ৩০ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, শফিউল আলমের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা জায়গা বিক্রি বাবদ পেতাম তাও দেবেন না বলে জানান শফিউল আলম। কিন্তু টাকা নিয়ে যে প্রত্যাশা তিনি দিয়েছিলেন সেই কথা রাখেননি। তিনি শুধু আমার কাছ থেকেই নেননি একই কথা বলে বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন।

আরেক প্রার্থী মো. সেলিম বলেন, শফিউল আলম জানিয়েছে- জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে তাকে কেন্দ্র আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভোট কারচুপি থেকে কেন্দ্র দখল সবকিছু তার (শফিউল আলম) নিয়ন্ত্রণে হবে। যদি আমি জিততে চাই তাকে ২ লাখ টাকা দিতে হবে। পরে চুক্তি অনুযায়ী ১ম কিস্তিতে ৫০ হাজার টাকা আমার জামাতার মাধ্যমে দিয়েছি। পরে তার নির্দেশে দিতে হয়েছে আরও ১ লাখ টাকা। বিভিন্ন অজুহাতে খরচ করিয়েছেন আরও লক্ষাধিক টাকা।

আরেক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া মো. আবছার বলেন, আমার কাছ থেকে কেন্দ্র খরচ বলে নিয়েছেন ৫০ হাজার টাকা।

প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ভোট কেন্দ্র আহবায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। তবে তাদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত লেনদেন আছে তাই ঝামেলা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুংড়িমং মারমা বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক অভিযোগ পেয়েছি শফিউল আলমের বিরুদ্ধে। দলীয়ভাবে দেওয়া দায়িত্বকে ব্যবহার করে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিএনএস/আইএইচ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন