গাইবান্ধায় প্রেমিকের আশায় স্বামী-সন্তান হারালেন গৃহবধূ, অতঃপর....

পিএনএস ডেস্ক: গাইবান্ধার সাঘাটায় পুটিমারি গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননী জেমি বেগম অনশন করছেন। এ ঘটনায় প্রেমিক রাসেল সরকার ও তার পরিবার বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের বাঁশ হাটা গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে জেমি বেগমের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাজের বেপারীর বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই সাঘাটা উপজেলার পুটিমারি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাসেল সরকারের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

প্রেমিক বিয়ে করবে বলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্প্রতি জেমির স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে রাসেল জেমি বেগমের ঘরে প্রবেশ করে এবং বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জেমি বেগমকে ধর্ষণ করে। এভাবে লোক চক্ষুর আড়ালে রাসেল জেমিকে ধর্ষণ করে আসছিল। কিন্তু অতি লোভের কারণে বিধি বাম হয়ে যায়। এক পর্যায়ে রাসেলকে জেমির শ্বশুরবাড়ির লোকজন ধরে ফেলেন এবং পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বামী নাজের বেপারী সন্তানকে রেখে জেমিকে তালাক দেন।

এদিকে, পুলিশ রাসেলকে সাঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের মাধ্যমে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। জামিনে বাড়িতে আসলে জেমি বাড়ির লোকজন রাসেলকে বিয়ে করার চাপ প্রয়োগ করেন।

কিন্তু রাসেল বিয়ে না করে তালবাহানা করে আসছিল। ফলে ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেমি বেগম বিয়ের দাবিতে রাসেলের বাড়ির উঠানে অনশন করছেন। ঘটনা টের পেয়ে রাসেল সরকার ও তার পরিবার বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে।

ভুক্তভোগী জেমি বেগম বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিল রাসেল সরকার। জেমির বাবা আব্দুল গফুর বলেন, রাসেল আমার মেয়ের সংসার ভাঙ্গিয়েছে, আমি ওর বিচার চাই।


পিএনএস/এমএইউ