কৃষিজমিতে লোনা পানির চিংড়ি চাষ অবৈধ

  31-08-2016 06:20PM

পিএনএস ডেস্ক : উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষিজমি ও বনভূমিতে লোনা পানি তুলে চিংড়ি চাষ অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

পরিবেশ আইনজীবী সমিতি বেলা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিজেরা করির পক্ষ থেকে করা জনস্বার্থে এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বনভূমি ও কৃষিজমিতে লোনা পানি তুলে চিংড়ি চাষ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এরপর এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আর চার বছরেরও বেশি সময় পর এই আবেদনের নিষ্পত্তি হলো।

২০১০ সালে ১০ জানুয়ারি উপকূলীয় জেলাগুলোতে জোর করে লোনা পানি তুলে চিংড়ি চাষ বন্ধে রিট করার পর ওইদিনই রুল জারি করে হাইকোর্ট। ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি লোনা পানি তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মাটিতে সমুদ্রের লবণ পানির অনুপ্রবেশ ঘটছে এবং ভূগর্ভস্থ পানিতেও লবণাক্ততা বাড়ছে। উপকূলের জমি লবণে আক্রান্ত হওয়ারর যেসব কারণ চিহ্নিত করেছে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, তার একটি এই চিংড়ি চাষ। নদী থেকে খাল কেটে লবণ পানি জমিতে নিয়ে আসা হয়। প্রভাবশালীরা অনেক সময় জমির মালিকের মতের ধারও ধারে না বলে অভিযোগ আছে। জোর করে ঘেরের অন্তর্ভূক্ত করে কৃষি জমিতে চিংড়ি চাষ করা হয়।

কৃষিবিদরা বলছেন, চিংড়ি চাষের জন্য বাঁধ কেটে ঘেরে ঢুকানো লোনা পানির প্রভাবে কেবল ভেতরের জমির নয়, আশপাশের ফসলি জমিতেও লবণ ছড়িয়ে পড়ছে। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, কক্সবাজারে এই সমস্যা প্রকট। গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, উপকূলীয় এলাকায় ৪০ বছরে লবণাক্ত জমি বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ১৮ জেলায় লবণে আক্রান্ত এ জমির পরিমাণ সাড়ে ১০ লাখ হেক্টর।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন